বাসস
  ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ১৫:৪৯

ম্যাকটোমিনের নাটকীয় জোড়া গোলে ইউনাইটেডের জয়, লুটনকে হারিয়ে শীর্ষে উঠলো টটেনহ্যাম

লন্ডন, ৮ অক্টোবর ২০২৩ (বাসস/এএফপি) : স্টপেজ টাইমে স্কট ম্যাকটোমিনের দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ২-১ ব্যবধানে  জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। প্রিমিয়ার লিগের আরেক ম্যাচে লুটনকে ১-০ গোলে পরাজিত করে টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে ১০ জনের টটেনহ্যাম। 
মাত্র সাত দিনের ব্যবধানে তৃতীয় পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে ছিল ইউনাইটেড। কিন্তু এরিক টেন হাগের দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেন ম্যাকটোমিন । 
গত সপ্তাহে ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে পরাজয়ের পর মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্যালাতাসারের কাছে হেরে বসে ইউনাইটেড। কাল ২৬ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে আরো একটি পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল। কাসেমিরোর একটি ব্যাক পাস ভিক্টর লিন্ডেলফ ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে মাথিয়াস জেনসেনের লো শট ধরতে পারেননি আন্দ্রে ওনানা। গত ১৯ আগস্টের পর থেকে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি ব্রেন্টফোর্ড। আর তাদের বিপক্ষে বিরতির আগ পর্যন্ত নবম স্থানে থাকা ইউনাইটেড ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিল। ম্যাচে সমতা ফেরাতে তাদেরকে পুরো ৯০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। 
বদলী বেঞ্চ থেকে উঠে এসে স্টপেজ টাইমের তৃতীয় মিনিটে পোস্টের খুব কাছে থেকে গোল করে ইউনাইটেড শিবিরে স্বস্তি ফেরান ম্যাকটোমিন। এরপর ৯৭ মিনিটে জয় সূচক গোলটি করে এই স্কটিশ মিডফিল্ডার। হ্যারি ম্যাগুয়েরের এ্যাসিস্টে ম্যাকটোমিনের শক্তিশালী হেড ধরার সাধ্য ছিলনা ব্রেন্টফোর্ড গোলরক্ষক থমাস স্টারকোষার।
এদিকে কেলিংওয়ার্থ রোডে মিডফিল্ডার ইয়েভেস বিসৌমা বিরতির ঠিক আগে অযথাই দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পেয়ে মাঠত্যাগে বাধ্য হলে ১০ জনের দলে পরিনত হয় টটেনহ্যাম। কিন্তু বিরতির পরপরই মিকি ফন ডি ভেনের গোলে স্পার্সদের জয় নিশ্চিত হয়। স্পার্সদের জার্সি গায়ে এটাই ডাচ ডিফেন্ডারের প্রথম গোল। লিগে আট ম্যাচে ষষ্ঠ জয়ে এখনো অপরাজিত রয়েছে টটেনহ্যাম। দুই পয়েন্টের ব্যবধানে তারা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটিকে পিছনে ফেলেছে। 
ম্যাচ শেষে স্পার্স বস আনগে পোস্তেকোগ্লু বলেছেন, ‘আমরা আজ  ম্যাচের আবহ বুঝে খেলেছি, আমাদের খেলার মধ্যে স্থিতিশীলতা ছিল। শুরুটাও ভাল হয়েছিল। তবে গোলের সংখ্যা তিন থেকে চারটি হওয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু লাল কার্ডে ম্যাচের পুরো পরিস্থিতি পাল্টে যায়। খেলোয়াড়রা সত্যিকার অর্থেই এই ক্লাবের পথ পরিবর্তন করতে চায়। আর মাঠে নামার পর সেই চেষ্টাই সবাই করে যাচ্ছে।’
বার্নলির মাঠে চেলসি ৪-১ গোলে স্বাগতিকদের উড়িয়ে দিয়েছে। এই ম্যাচে গোল করার মাধ্যমে ইংলিশ ম্যানেজার গ্যারেথ সাউথগেটের কাছে নিজেকে কিছুটা হলেও প্রমান করতে পেরেছেন স্ট্রাইকার রাহিম স্টার্লিং। আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ ও ইতালির বিপক্ষে ইউরো বাছাইপর্বে দুই ম্যাচকে সামনে রেখে স্টার্লিংকে জাতীয় দল থেকে বাদ দিয়েছেন সাউথগেট। কিন্তু টার্ফ মুরে চেলসির তিনটি গোলের পিছনে মূখ্য ভূমিকা ছিল এই ইংলিশ উইঙ্গারের। এনিয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় মরিসিও পোচেত্তিনোর দল টানা তিন জয় তুলে নিল। 
ফরাসি টিনএজার উইলসন ওডোবার্টের গোলে ১৫ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল স্বাগতিক বার্নলি। প্রিমিয়ার লিগে মূল একাদশে প্রথমবারের মত খেলতে নেমেই চমক দেখালেন ওডোবার্ট। ৪২ মিনিটে স্টার্লিংয়ের ক্রসে আমিন আল-দাখিল ক্লিয়ার করতে গেলে তা আত্মঘাতি গোলে পরিনত হয়। ফলে সমতায় ফিরে ব্লুজরা। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যে এগিয়ে যায় চেলসি। স্টার্লিংকে ডি বক্সের মধ্যে থামাতে গিয়ে ফাউল করে বসে ভিটিনহো। স্পট কিক থেকে গোল করে চেলসিকে এগিয়ে দেন কোল পালমার। আগস্টে ম্যানচেস্টার সিটি থেকে স্ট্যামফোর্ড ব্রীজে আসার পর এটাই পালমারের প্রথম গোল। ৬৫ মিনিটে কনস গালাহরের পাস থেকে দারুন ফিনিশিংয়ে স্টার্লিং ব্যবধান দ্বিগুন করেন। ১০ মিনিট পর নিকোলাস জ্যাকসন চেলসির হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন। 
গুডিসন পাকে তলানির থেকে দ্বিতীয় দল বোর্নমাউথকে ৩-০ গোলে পরাজিত করেছে এভারটন। জেমস গার্নারের গোলে ৮ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল সিন ডায়চের দল। তিন ম্যাচে এটি গার্নারের দ্বিতীয় গোল। ৩৭ মিনিটে ৩০ গজ দুর থেকে জোড়ালো শটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন জ্যাক হ্যারিসন। বোর্নমাউথ গোলরক্ষক নেটো অল্পের জন্য শটটি রক্ষা করতে পারেননি। ৬০ মিনিটে আব্দুলায়ে ডকুরে পোস্টের খুব কাছে থেকে তৃতীয় গোলটি করেন। এর মাধ্যমে এবারের মৌসুমে দ্বিতীয় জয় নিশ্চিত করেছে এভারটন। 
ববি ডি কোরডোভার-রেইডের গোলের পর ওয়েস ফোডারিংহ্যামের আত্মঘাতি ও উইলিয়ানের শেষ মুহূর্তের গোলে শেফিল্ড ইউনিয়নকে ৩-১ ব্যবধানে পরাজিত করেছে ফুলহ্যাম। লিগ টেবিলের তলানির দল শেফিল্ড আট ম্যাচে এখনো কোন জয় পায়নি। ক্রাভেন কটেজে এন্টোনি রবিনসনের আত্মঘাতি গোলে শেফিল্ড অল্প সময়ের জন্য ১-১’এ সমতায় ফিরেছিল। কিন্তু পরে দুই গোল হজম করে এই গোল আর কোন কাজে আসেনি।