বাসস
  ০৯ অক্টোবর ২০২৩, ১৮:১৭

আমাদের নিজস্ব ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ : হেরাথ

ঢাকা, ৯ অক্টোবর ২০২৩ (বাসস) : ইংল্যান্ডের অতি আগ্রাসী ক্রিকেটের মোকাবেলায় নিজস্ব ব্র্যান্ডের ক্রিকেটের উপর জোর দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ।
 মাঠের বাইরের সমস্যাগুলোকে পেছনে ফেলে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে টাইগাররা। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্থানের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জয় পেয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।
ধর্মশালার মন্থর গতির উইকেট বাংলাদেশের স্পিনারদের দারুন সহায়তা করেছে। একই  মাঠ বলেই  বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ম্যাচেও আশার আলো দেখছে টাইগাররা। কারণ মানস্পন্ন স্পিনের বিপক্ষে কিছুটা দূর্বলতা রয়েছে ইংলিশ দলটির। তবে তারা এটিও দেখিয়েছে ব্যাটিং শৈলি দিয়ে কোন কোন সময় পিচের সমীকরণকে বদলে দিতে পারে। তাই হেরাথের মতে মানষিকতা ও দৃস্টিভঙ্গিও বেশ গুরুত্বপুর্ন।
ধর্মশালায় হেরাথ আজ সাংবাদিকদের বলেন,‘ আমাদের জন্য নিজস্ব ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলাটা অত্যন্ত  গুরুত্বপুর্ন। একই রকম মানষিকতার সঙ্গে শারিরিক ভাষাটাও বেশ দরকার। সুতরাং আমাদের একই রকম দৃস্টিভঙ্গি ও মানষিকতা নিয়ে খেলতে হবে। আমরা যদি নিজস্ব ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলতে পারি, তাহলে সাফল্যের পাশাপাশি জয়েরও সুযোগ থাকবে।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের সাহসিকতাই বাংলাদেশের নিজস্ব ব্র্যান্ড উল্লেখ করে হেরাথ বলেন, সেই সঙ্গে কিছু কৌশলগত দক্ষতা কাজে দিয়েছে। খেলার শুরুতে আফগানিস্তানের ব্যাটাররা আকমনাত্মক হয়ে উঠলেও বাংলাদেশ তাদের সামর্থ্যের উপর আস্থা রেখেছে।  
লংকান ওই কোচ বলেন,‘ যখন পরিকল্পনার কথা আসবে, আপনাকে স্পষ্টতই নিজের দক্ষতা ও সামর্থ্য দিয়ে সেরাটা খেলতে হবে। সুতরাং সেক্ষেত্রে ভেতরে একজন অতিরিক্ত ফিল্ডার রাখা এবং কিছুটা ভিন্ন আঙ্গিকে ফিল্ডিং সাজাতে হবে। আমরা আসলে ওইসব বিষয় নিয়েই ভাবছি।’
সাবেক ওই লংকান স্পিনার বলেন, ‘ আপগান ম্যাচে আমাদের সাফল্যের মূলে ছিল সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজের পারদর্শীতা এবং পিচ সম্পর্কে যথার্থ  মূল্যায়ন। ওই দুই স্পিনার ছয়টি উইকেট সমানভাগে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিলেচমৎকার শুরুর পরও ভেঙ্গে পড়ে আফগান ইনিংস।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও ওই দুইজনের কাছ থেকে একই পারফরমেন্স  দেখতে চান টাইগারদের স্পিন কোচ। স্পিনারদের দশে দশ নম্বর দিয়ে   সাকিবের ফিল্ডিং সাজানোরও প্রশংসা করেছেন হেরাথ। তিনি বলেন,‘ সত্যিকারার্থে আমি স্পিনারদের দশে দশ দিতে চাই। কারণ আগেও আমি বলেছি, তারা বেশ ভালোভাবে পিচ বুঝতে  পারেন। এরপর তারা বিশ্লেষন করেছে কোন লাইন ও লেন্থের বল ভালো হবে। সেই সঙ্গে তারা দারুন ভাবে একটি আক্রমনাত্মক ফিল্ড সাজিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে আসলে তাদের বোলিংয়ের ধরণ দেখে আমি শতভাগ তৃপ্ত। ’          
 দারুন আবয়বে থাকা বাংলাদেশ দলের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে লিটন দাসের ফর্মহীনতা। সর্বশেষ ১০ ম্যাচে তার রানের গড় মাত্র ১৪। যদিও বিগত দুই বছর ধরে বাংলাদেশ দলের সেরা ব্যাটার তিনি। যত দ্রুত সম্ভব তিনি ফর্মে ফিরবেন বলে আশা করছেন হেরাথ।
তিনি বলেন,‘ সবাইকেই এরকম বাজে সময়ের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। তাই একমাত্র বিষয় হচ্ছে কতটা দৃঢ়তার সঙ্গে আপনি ফিরে আসতে পারবেন। সুতরাং আমি নিশ্চিত লিটন দাস শক্তভাবে  ফিরে আসবেন। ব্যাটিংয়ের কথা আসলে এটি বলতে পারি, আমাদের একটি সঠিক পার্টনারশীপ দরকার। আসলে বড় স্কোর গড়ার জন্য সঠিক পার্টনারশীপের বিকল্প নেই।’