বাসস
  ২১ অক্টোবর ২০২৩, ১৯:২৯
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৩, ২২:১৬

ক্লাসেনের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩৯৯ রান

মুম্বাই, ২১ অক্টোবর ২০২৩ (বাসস) : হেনরিচ ক্লাসেনের ঝড়ো সেঞ্চুরির সাথে তিন ব্যাটারের হাফ-সেঞ্চুরিতে ওয়ানডে বিশ^কাপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৯৯ রান করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় রান প্রোটিয়াদের। 
৬৭ বলে ১০৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ক্লাসেন। ষষ্ঠ উইকেটে মার্কো জানসেনের সাথে ৭৭ বলে ১৫১ রান যোগ করেন ক্লাসেন। জানসেন ৪২ বলে অপরাজিত ৭৫, রেজা হেনড্রিক্স ৮৫ ও রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ৬০ রান করেন।  
মুম্বাইয়ে টস জিতে প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রন জানায় ইংল্যান্ড। ব্যাট হাতে ইনিংসের প্রথম বলেই চার মারেন প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টন ডি কক। ইংলিস পেসার রিচ টপলির পরের ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেন ডি কক। 
শুরুতে ডি কককে হারানোর চাপ দলকে বুঝতে দেননি আরেক ওপেনার হেনড্রিক্স ও তিন নম্বরে নামা ডুসেন। ১৭তম ওভারেই হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান দু’জনে। ৪৯ বলে ডুসেন ওয়ানডেতে ১৩তম এবং ৪৮ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ষষ্ঠ অর্ধশতক করেন হেনড্রিক্স। 
২০তম ওভারে ৮ চারে ৬১ বলে ৬০ রান করা ডুসেনকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন স্পিনার আদিল রশিদ। ১১৬ বলে দলের স্কোরে ১২১ রান যোগ করেন ডুসেন ও হেনড্রিক্স। 
তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক আইডেন মার্করামের সাথে জুটি গড়ার চেষ্টা করে বেশি দূর যেতে পারেননি হেনড্রিক্স। তাদের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান রশিদ। ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৫ বলে ৮৫ রান করা হেনড্রিক্সকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান রশিদ।  
হেনড্রিক্সের সাথে না পারলে চতুর্থ উইকেটে ক্লাসেনের সাথে হাফ-সেঞ্চুরির জুটি গড়েন মার্করাম। তাদের জুটিতে দলের রান ২শ পার হয়। ৩৫তম ওভারে মার্করামকে ৪২ রানে থামান টপলি। জুটিতে ৫৮ বল খেলে ৬৯ রান যোগ করেন মার্করাম ও ক্লাসেন। ছয় নম্বরে নামা ডেভিড মিলারকে দুই অংকের কোটা পার করতে দেননি টপলি। ৫ রানে বিদায় নেন তিনি। 
দলীয় ২৪৩ রানে মিলার ফেরার পর দলের বড় স্কোরের পথ তৈরি করেন ক্লাসেন ও মার্কো জানসেন। বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেলে ৪৭তম ওভারে ওয়ানডেতে চতুর্থ সেঞ্চুরির দেখা পান ৬১ বল খেলা ক্লাসেন। বিশ^কাপে দ্রুততম সেঞ্চুরিতে এটি ষষ্ঠস্থানে। এবারের আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের এটি পঞ্চম সেঞ্চুরি। এর আগে ২০১৫ সালেও এক আসরে সর্বোচ্চ পাঁচটি সেঞ্চুরি করেছিলো প্রোটিয়া ব্যাটাররা। ক্লাসেনের সেঞ্চুরির পর শেষদিকে মারমুখী রুপ নেন জানসেন। ইনিংসের শেষ ৩ ওভারে ১০ বল খেলে ৪০ রান তুলেন জানসেন। ৩৫ বলে ওয়ানডেতে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি করেন জানসেন। শেষ ওভারের প্রথম বলে পেসার গাস অ্যাটকিনসনের বলে আউট হন ক্লাসেন। ১২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৬৭ বলে ১০৯ রান করেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে প্রথম বিশ^কাপ খেলতে নেমে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসে এটি তৃতীয়স্থানে জায়গা পেয়েছে। 
ষষ্ঠ উইকেটে জানসেন-ক্লাসেন ৭৭ বলে ১৫১ রান যোগ করেন। ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ষষ্ঠ বা তার নীচের দিকের উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। 
ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৯৯ রানের পাহাড় সমান রান এনে দেন জানসেন। শেষ ১০ ওভারে ১৪৩ রান পায় প্রোটিয়ারা। এরমধ্যে শেষ ৫ ওভারে ৮৪ রান ছিলো। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানেডেতে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় রান দক্ষিণ আফ্রিকার। এই নিয়ে প্রথমে ব্যাটিং করে টানা ষষ্ঠবার ৩শর বেশি রান করলো দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৪২ বলে অপরাজিত ৭৫ রান করেন জানসেন। 
টপলি ৮.৫ ওভারে ৮৮ রানে ৩ উইকেট নেন। এছাড়া অ্যাটকিনসন-রশিদ নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।