বাসস
  ০৯ জুন ২০২৪, ১৩:২৬

মিলারের দায়িত্বশীল ইনিংসে স্বস্তির জয় দক্ষিণ আফ্রিকার

নিউ ইয়র্ক, ৯ জুন ২০২৪ (বাসস) : ব্যাটার ডেভিড মিলারের দায়িত্বশীল ইনিংসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হারের শঙ্কা থেকে ঘুড়ে দাঁড়িয়ে স্বস্তির জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
বিশ^কাপের নবম আসরে ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে গতরাতে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪ উইকেটে হারিয়েছে নেদারল্যান্ডসকে। ৫১ বলে অপরাজিত ৫৯ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেন মিলার।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছিলো দক্ষিন আফ্রিকা। ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে প্রোটিয়ারা। ১ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে আছে বাংলাদেশ। নেপালের বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয় দিয়ে বিশ^কাপ শুরু করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে হারের স্বাদ পেলো  নেদারল্যান্ডস।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার তিন পেসার মার্কো জানসেন, বার্টমান ও এনরিচ নর্টির তোপের মুখে পড়ে ৪৮ রানে ৬ উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস। শুরুর ধাক্কা সামলে উঠতে সপ্তম উইকেটে লড়াই করেছেন সাইব্রান্ড এঙ্গেলব্রেশট ও লোগান ফন বিক। সপ্তম উইকেটে ৪৫ বলে ৫৪ রান তুলে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ১শ পার করেন তারা।
এঙ্গেলব্রেশট ৪০ ও বিক ২৩ রানে আউট হলে শেষ পর্যন্ত  ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১০৩ রানের মামুলি সংগ্রহ পায় নেদারল্যান্ডস। ডাচ ইনিংসের শেষ ওভারে ৩ উইকেট নেন বার্টমান। ৪ ওভার বল করে ১১ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপে দক্ষিণ আফ্রিকার কোন বোলারের এটি দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার।
১০৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুতে মহাবিপদে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। পাওয়ার প্লেতে ১৬ রানে ৪ উইকেট হারায় তারা। যা দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বনি¤œ রান।
খাদের কিনারায় পড়ে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে টেনে তুলতে হাল ধরেন ট্রিস্টান স্টাবস ও ডেভিড মিলার। তাতে সফল হন তারা। পঞ্চম উইকেটে ৭২ বলে ৬৫ রান যোগ করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয়ের পথে ফেরান স্টাবস ও মিলার।  
১টি করে চার-ছক্কায় স্টাবস ৩৩ রানে ফিরলেও, কেশব মহারাজকে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন  মিলার। ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫১ বলে অনবদ্য ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন   ম্যাচ সেরা হন মিলার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
নেদারল্যান্ডস : ১০৩/৯, ২০ ওভার (এঙ্গেলব্রেশট ৪০, বিক ২৩, বার্টমান ৪/১১)।
দক্ষিন আফ্রিকা : ১০৬/৬, ১৮.৫ ওভার (মিলার ৫৯*, স্টাবস ৩৩, কিংমা ২/১২)।
ফল : দক্ষিন আফ্রিকা ৪ উইকেটে জয়ী।