বাসস
  ১০ জুন ২০২৪, ২১:১৬
আপডেট : ১০ জুন ২০২৪, ২২:৩২

তানজিম-তাসকিনের বোলিং নৈপুণ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১১৩ রান

নিউইয়র্ক, ১০ জুন ২০২৪ (বাসস) : দুই পেসার তানজিম হাসান ও তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত বোলিং নৈপুন্যে টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপে ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় স্কোর করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১১৩ রান করেছে প্রোটিয়ারা। তানজিম ৩টি ও তাসকিন ২ উইকেট নেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ফিল্ডিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভার করতে আসা বাংলাদেশের তানজিম হাসানের দ্বিতীয় বলে ছক্কা ও তৃতীয় বলে চার মারেন দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার কুইন্টন ডি কক। তবে ওভারের শেষ বলে আরেক ওপেনার রেজা হেনড্রিক্সকে খালি হাতে বিদায় দেন তানজিম।
নিজের দ্বিতীয় ওভারেও উইকেট শিকারের আনন্দে মাতেন তানজিম। ১১ বলে ১৮ রান করা ডি কককে বোল্ড করেন তানজিম। ইনিংসে চতুর্থ ওভারে উইকেট শিকারের তালিকায় নাম তোলেন  তাসকিন । দারুন এক ডেলিভারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক আইডেন মার্করামকে (৪)  বোল্ড করেন তাসকিন।
নিজের প্রথম দুই ওভারে উইকেট নেওয়া তানজিম তার ঝলক  অব্যাহত রাখেন। তৃতীয় ওভারে সাকিব আল হাসানের ক্যাচে মিডল অর্ডার ব্যাটার ট্রিস্টান স্টাবসকে খালি হাতে সাজঘরে ফেরত পাঠান তানজিম। পঞ্চম ওভারে দলীয় ২৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই নিয়ে চতুর্থবার বিশ^কাপে পাওয়ার প্লেতে প্রতিপক্ষের ৪ উইকেট শিকার করলো বাংলাদেশ
এ অবস্থায় জুটি গড়ার চেষ্টা করেন হেনরিচ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। উইকেট ধরে খেলে ১০ ওভার শেষে দলের রান ৫৭তে নেন তারা। ততক্ষণে উইকেটে সেট হয়ে যান ক্লাসেন ও মিলার।
১১তম ওভারে প্রথমবারের মত বোলিং আক্রমনে আসেন স্পিনার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। প্রথম ডেলিভারিতে মিলারকে বিদায়ের পথ তৈরি করেছিলেন রিয়াদ। কিন্ত উইকেটের পেছনে মিলারের ক্যাচ নিতে পারেননি লিটন দাস।
জীবন পেয়ে ক্লাসেনকে নিয়ে ১৭তম ওভারে  দলের রান ১শ পার করেন মিলার। ডেথ ওভারে মারমুখী হবার পরিকল্পনায় ছিলেন ক্লাসেন ও মিলার। কিন্তু ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে ক্লাসেনের উইকেট উপড়ে ফেলেন তাসকিন। ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৪ বলে দলের সর্বোচ্চ  ৪৬ রান করেন ক্লাসেন। পরের ওভারে মিলারকে বোল্ড করেন রিশাদ। ১টি করে চার-ছক্কায় ৩৮ বলে ২৯ রান করেন মিলার। পঞ্চম উইকেটে ৭৯ বলে ৭৯ রান যোগ করেন ক্লাসেন- মিলার।
দলীয় ১০৬ রানের মধ্যে ক্লাসেন ও মিলার ফেরার পর ইনিংসের বাকী ১০ বলে ৭ রানের বেশি যোগ করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১১৩ রানের সংগ্রহ পায় প্রোটিয়ারা।
৪ ওভার করে বল করে তানজিম ১৮ রানে ৩টি ও তাসকিন ১৯ রানে ২ উইকেট নেন। ৮ ম্যাচের টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন তানজিম। আগের ম্যাচের হিরো রিশাদ ৩২ রানে নেন ১ উইকেট। এ ছাড়া  মুস্তাফিজুর রহমান  কোন উইকেট না পেলেও  ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ১৮ রান দিয়েছেন।