বাসস
  ১৬ জুন ২০২৪, ১৬:২৬

স্কটল্যান্ডকে বিদায় দিয়ে ইংল্যান্ডকে সুপার এইটে তুললো অস্ট্রেলিয়া

সেন্ট লুসিয়া, ১৬ জুন, ২০২৪ (বাসস) : নামিবিয়াকে বৃষ্টি আইনে ৪১ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের সুপার এইটে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখে বিশ^ চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। সুপার এইটে খেলতে হলে অস্ট্রেলিয়ার কাছে স্কটল্যান্ডের বড় ব্যবধানে হারের প্রার্থনায় বসে ইংলিশরা। এরপর অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৫ উইকেটে  স্কটল্যান্ড হেরে যাওয়ায়  সুপার এইট নিশ্চিত হয় ইংল্যান্ডের। কারণ পয়েন্ট টেবিলে ৪ ম্যাচ শেষে ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের পয়েন্ট সমান ৫ করে ছিলো। কিন্তু রান রেটে স্কটিশদের চেয়ে এগিয়ে ছিলো ইংলিশরা। ৩.৬১১ রান রেট ছিলো ইংল্যান্ডের। ১.২৫৫ রান রেট ছিলো স্কটল্যান্ডের। ৪ ম্যাচে পূর্ণ ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকে আগেই ‘বি’ গ্রুপ থেকে সুপার এইট নিশ্চিত করেছিলো অসিরা।
গতরাতে অ্যান্টিগায় মুখোমুখি হয়েছিলো ইংল্যান্ড ও নামিবিয়া। সুপার এইটে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে, জয়ের বিকল্প ছিলো না ইংলিশদের। কিন্তু বৃষ্টির কারনে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায়ের শঙ্কায় পড়ে ইংল্যান্ড। কারন এ ম্যাচে ১ পয়েন্ট পেলে নিশ্চিত বিদায় নিতে হবে তাদের।
অবশেষে বৃষ্টি থামলে মাঠে গড়ায় ম্যাচ । বৃষ্টির কারনে প্রায় আড়াই ঘন্টা সময় নষ্ট হওয়ায় ম্যাচটি ১০ ওভারে নির্ধারিত হয়। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ১০ ওভারে ৫ উইকেটে ১২২ রান করে ইংল্যান্ড। হ্যারি ব্রুক ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ২০ বলে অপরাজিত ৪৭ রান করেন। এছাড়া জনি বেয়ারস্টো ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৮ বলে ৩১, মঈন আলি ৬ বলে ১৬ এবং লিয়াম লিভিংস্টোন ৪ বলে ১৩ রান করেন।
বৃষ্টি আইনে ১০ ওভারে ১২৬ রানের নতুন টার্গেট পায় নামিবিয়া। কিন্তু ১০ ওভারে ৩ উইকেটে ৮৪ রানের বেশি করতে পারেনি নামিবিয়া। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন মাইকেল ভ্যান লিগেন। ইংল্যান্ডের জোফরা আর্চার ও ক্রিস জর্ডান ১টি করে উইকেট নেন। নামিবিয়াকে হারিয়ে সুপাই এইটে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখে ইংল্যান্ড। এরপর অস্ট্রেলিয়া-স্কটল্যান্ডের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকে ইংলিশরা। এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে স্কটল্যান্ডের হারের প্রত্যাশায় থাকে ইংল্যান্ড। তবে এই ম্যাচ থেকে অন্তত ১ পয়েন্ট পেলেই সুপার এইটে উঠতো স্কটল্যান্ড।
সেন্ট লুসিয়া টস হেরে ব্যাট হাতে নেমে ব্রান্ডন ম্যাকমুলেনের ঝড়ো হাফ-সেঞ্চুরিতে লড়াকু পুঁজি পায় স্কটল্যান্ড। ২টি চার ও ৬টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৩৪ বলে ৬০ রান করেন ম্যাকমুলেন। এছাড়া অধিনায়ক রিচি বেরিংটন ৩১ বলে ৪২ এবং জিওর্জি মুনসি ২৩ বলে ৩৫ রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২ উইকেট নেন।
১৮১ রানের টার্গেটে ৩৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ডেডিড ওয়ার্নার ১ ও অধিনায়ক মিচেল মার্শ ৮ রানে আউট হন। মিডল অর্ডারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১১ রানে থামলে আরও চাপে পড়ে অসিরা। চতুর্থ উইকেটে ৪৪ বলে ৮০ রানের জুটি গড়ে অস্ট্রেলিয়াকে লড়াইয়ে ফেরান ওপেনার ট্রাভিস হেড ও মার্কাস স্টয়নিস। দু’জনই হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন।
১৫ রানের ব্যবধানে হেড ও স্টয়নিস ফিরলে, ম্যাচ নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু শেষদিকে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৪ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত করেন টিম ডেভিড। ষষ্ঠ উইকেটে ম্যাথু ওয়েডের সাথে ১৬ বলে অবিচ্ছিন্ন ৩১ রান তুলেন ডেভিড। এরমধ্যে ১১ বলে ২২ রানই ছিলো ডেভিডের।
৫টি চার ও ৪টি ছক্কায়  হেড ৪৯ বলে ৬৮ এবং ৯টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৯ বলে ৫৯ রান করেন স্টয়নিস। অস্ট্রেলিয়ার জয়ে সুপার এইটে উঠে ইংল্যান্ড।