বাসস
  ২৪ জুন ২০২৪, ১৩:০৭

যুক্তরাষ্ট্রকে ১০ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড

বার্বাডোজ, ২৪ জুন ২০২৪ (বাসস) : ৬২ বল হাতে রেখে যুক্তরাষ্ট্রকে ১০ উইকেটে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত কেেরছে  বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। এই জয়ে ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটের দিক দিয়ে গ্রুপের অন্য দুই দল দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে এগিয়ে থাকায় সেমির টিকিট পায় ইংলিশরা। ফলে সুপার এইটে গ্রুপ-২এ দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচটি অলিখিত কোয়ার্টার ফাইনালে রূপ নেয়।
গতরাতে সুপার এইটে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করতে নামে ইংল্যান্ড। ব্যাট হাতে নেমে ইংল্যান্ডের বোলারদের সামনে নিজেদের সেরাটা দেখাতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। দুই পেসার ক্রিস জর্ডান-স্যাম কারান ও স্পিনার আদিল রশিদের বোলিং তোপে ১৮ দশমিক ৫ ওভারে ১১৫ রানে অলআউট হয় যুক্তরাষ্ট্র।
জর্ডানের হ্যাট্টিকের আগে যুক্তরাষ্ট্রের সংগ্রহ ছিলো ১৮ ওভারে ৫ উইকেটে ১১৫ রান। যুক্তরাষ্ট্রের ইনিংসে ১৯তম ওভারে হ্যাট্টিকসহ ৪ উইকেট নেন জর্ডান। তাতে শূণ্য রানে ৫ উইকেট হারায় যুক্তরাষ্ট্র। ইনিংসে ৪ ওভারে ১০ রানে ৪ উইকেট নেন জর্ডান। ইংল্যান্ডের প্রথম বোলার হিসেবে বিশ^কাপ ও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে হ্যাট্টিক করলেন জর্ডান।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক ওভারে চার উইকেট নেওয়া দ্বিতীয় বোলার হিসেবে রেকর্ড বইয়ে নাম তুলেছেন জর্ডান। এর আগে প্রথম বোলার হিসেবে ২০২১ সালের বিশ^কাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে এক ওভারে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন আয়ারল্যান্ডের কার্টিস ক্যাম্ফার।
 যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নীতিশ কুমার ৩০, কোরি এন্ডারসন ২৯ ও হারমিত সিং ২১ রান করেন।
জয়ের জন্য ১১৬ রানের টার্গেট পায় ইংল্যান্ড। কিন্তু সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে ১১৬ রানের টার্গেট ১৮ দশমিক ৪ ওভারেই স্পর্শ করতে হবে ইংলিশদের। এমন সমীকরণে খেলতে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন অধিনায়ক জশ বাটলার। ৬টি চার ও ৭টি ছক্কায় ৩৮ বলে ২১৮ স্ট্রাইক রেটে অপরাজিত ৮৩ রান করেন তিনি। এরফলে ৯ দশমিক ৪ ওভারে বিনা উইকেটে টার্গেট স্পর্শ করে সেমিতে উঠে ইংল্যান্ড। বাটলারের সাথে ইনিংস শুরু করা ফিল সল্ট ২১ বলে ২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৪ ওভারে ১৩ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন টি-টোয়েন্টির এক নম্বর বোলার  আদিল রশিদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
যুক্তরাষ্ট্র : ১১৫/১০, ১৮.৫ ওভার (নীতিশ ৩০, এন্ডারসন ২৯, জর্ডান ৪/১০)।
ইংল্যান্ড : ১১৭/০, ৯.৪ ওভার (বাটলার ৮৩*, সল্ট ২৫*)।
ফল : ইংল্যান্ড ১০ উইকেটে জয়ী।