ঢাকা, ১৬ মে ২০২৫ (বাসস) : ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে সাম্প্রতিক পারফরমেন্সের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার লক্ষ্য নিয়ে আগামীকাল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাঠে নামবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হওয়া প্রথম ম্যাচটি সরাসরি দেখাবে টি স্পোর্টস চ্যানেল।
এই ম্যাচে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের স্থায়ী অধিনায়ক হিসেবে খেলতে নামবেন লিটন দাস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লিটন। গত বছরের ডিসেম্বরে ক্যারিবিয়ান মাটিতে অনুষ্ঠিত সিরিজটি টাইগারদের সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি ছিল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ব্যাট হাতে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি লিটন। তারপরও অধিনায়ক হিসেবে নিজ দলের সামর্থ্য দেখিয়েছেন তিনি। ফলে লিটনের উপর আস্থা রাখে টিম ম্যানেজমেন্ট। এতে এই ফরম্যাটে স্থায়ীভাবে অধিনায়কের গুরুদায়িত্ব পান লিটন।
এই সিরিজকে স্মরণীয় করে রাখার চেষ্টা করবেন জানিয়ে লিটন বলেন, দীর্ঘমেয়াফষ সাফল্যের পথে সংযুক্ত আরব আমিরাত সিরিজ একটি ধাপ হবে।
দেশ ছাড়ার আগে লিটন বলেছিলেন, ‘অবশ্যই আমরা এই সিরিজ (সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে) জিততে চাই। আসলে, আমাদের লক্ষ্য সবসময় একই। আমরা যে কোনও খেলায় জিততে চাই। আমরা একটি দল হিসেবে দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য চাই। আমরা একটি শক্তিশালী দল গড়ে তুলতে চাই। যারা যেকোনো কন্ডিশনে যেকোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জিততে পারে।’
শক্তি এবং ক্রিকেট সংস্কৃতির দিক থেকে দুই দলের মধ্যে যে পার্থক্য আছে, তা বিবেচনা করে এই সিরিজ সহজেই জেতা উচিত বাংলাদেশের।
এখন পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ খেলে সবগুলোই জিতেছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০২২ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে দুই ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল টাইগাররা।
নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে বাংলাদেশের পারফরমেন্স খুব বেশি ভালো নয়। ১৮২ ম্যাচ খেলে ৭১টিতে জয় এবং ১০৭টিতে হেরেছে টাইগাররা।
আবর আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজের দুই ম্যাচ জিততে পারলে স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাস বাড়বে বাংলাদেশের। কারণ ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিজেদের পরিকল্পনা সাজাচ্ছে টাইগাররা।
ধারণা করা হচ্ছে লিটনের অফ ফর্ম তার অধিনায়কত্বের উপর চাপ ফেলতে পারে। কিন্তু এটিকে খুব বেশি আমলে নিচ্ছেন না লিটন। তিনি জানান, অধিনায়কত্বের দায়িত্ব ফর্মে ফিরতে ভূমিকা রাখবে।
লিটন বলেন, ‘কোনও চাপ নেই। অধিনায়ক না থাকার সময়েও কখনো কখনো আমার পারফরমেন্স খারাপ ছিল, এখন যে খারাপ হবে তা নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা (অধিনায়কত্ব) বড় প্লাস পয়েন্ট হতে পারে। আমি বিশ্বাস করি যারা ইতিবাচকভাবে চিন্তা করে, এমনকি যদি তারা কিছু দিনের জন্য ব্যর্থ হয়, ফলাফল আসবেই। আমি সেই জায়গায় আছি। আমি ইতিবাচকভাবে চিন্তা করছি যাতে ফলাফল আমার পক্ষে আনতে পারি।’
দলের সতীর্থদের পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে খেলার আহ্বান জানান ৩০ বছর বয়সী উইকেটরক্ষক-ব্যাটার লিটন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দলকে এগিয়ে যেতে হলে ক্রিকেটারদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমরা ভালো খেললেই দল এগিয়ে যাবে।’
বাংলাদেশ দল : লিটন দাস (অধিনায়ক), মাহেদি হাসান, তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, তানজিম হাসান সাকিব, নাহিদ রানা ও শরিফুল ইসলাম।
সংযুক্ত আরব আমিরাত দল : মুহাম্মদ ওয়াসিম (অধিনায়ক), আলিশান শরাফু, আরিয়ানশ শর্মা, আসিফ খান, ধ্রুব পরাশার, ইথান ডি’সুজা, হায়দার আলী, মতিউল্লাহ খান, মুহাম্মদ জাওয়াদুল্লাহ, মুহাম্মদ জোহাইব, মুহাম্মদ জুহাইব, রাহুল চোপড়া, সাগির খান, সঞ্চিত শর্মা এবং সিমরঞ্জিত সিং।