ঢাকা, ২৬ মে ২০২৫ (বাসস) : তৃতীয়বারের মত পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের শিরোপা জিতল লাহোর কালান্দার্স। গতরাতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে লাহোর কালান্দার্স ৬ উইকেটে হারিয়েছে কুয়েটা গ্লাডিয়েটর্সকে। এবারের মৌসুমে শিরোপা জয় করা লাহোর দলে ছিলেন তিন বাংলাদেশি ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ ও রিশাদ হোসেন। ফাইনাল ম্যাচের একাদশে ছিলেন শুধুমাত্র রিশাদ।
এর আগে ২০২২ ও ২০২৩ সালে শিরোপা জিতেছিল লাহোর। এতে সর্বোচ্চ তিনবার শিরোপা জয় করা ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের পাশে নাম উঠল লাহোরের। ২০১৬, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে পিএসএল ট্রফি জয় করেছিল ইসলামাবাদ।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২১ রানে ২ উইকেট হারায় কুয়েটা গ্লাডিয়েটর্স। মিডল অর্ডারে দুই উইকেটে আভিস্কা ফার্নান্দো ও দিনেশ চান্ডিমালকে নিয়ে যথাক্রমে- ৩৯ বলে ৬৭ ও ২৭ বলে ৪৬ রানের জুটি গড়েন হাসান নাওয়াজ।
আভিস্কা ২৯ ও চান্ডিমাল ২২ রানে থামলেও হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন হাসান। ১৮তম ওভারে দলীয় ১৭২ রানে আউট হন ৮টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৪৩ বলে ৭৬ রান করা হাসান।
শেষ দিকে ফাহিম আশরাফের ২ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো ৮ বলে ২৮ রানের ক্যামিও ইনিংসের সুবাদে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ২০১ রানের বড় সংগ্রহ পায় কুয়েটা।
৪ ওভার বল করে ৪২ রানে ১ উইকেট নেন বাংলাদেশ স্পিনার রিশাদ। লাহোরের অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি ২৪ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
২০২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৯ ওভারে ২ উইকেটে ৮৯ রান তুলে লাহোর। দুই ওপেনার ফখর জামান ১১ ও মোহাম্মদ নাইম ২৭ বলে ৪৬ রানে আউট হন।
মিডল অর্ডারে আব্দুল্লাহ শফিক ও ভানুকা রাজাপাকসের সাথে দু’টি ৩০ রানের জুটি গড়ে দলকে লড়াইয়ে রাখেন কুশল পেরেরা। শফিক ৪১ এবং রাজাপাকসে ১৪ রানে যখন আউট হন, তখন ২০ বলে ৫৭ রান দরকার পড়ে লাহোরের। পরের ১৪ বলে পেরেরা ও সিকান্দার রাজা ৪৪ রান তুললে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৩ রান দরকার ছিল লাহোরের।
শেষ ওভারের প্রথম ৩ বলে ৫ রান ও চতুর্থ বলে ছক্কা মেরে লাহোরের জয়ের সমীকরণ সহজ করে ফেলেন রাজা। পঞ্চম বলে চার মেরে লাহোরের জয় নিশ্চিত করেন এক দিন আগে নটিংহ্যামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলা রাজা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ শেষ করেই পিএসএলের ফাইনাল খেলতে নেমে ২টি করে চার-ছক্কায় ৭ বলে অপরাজিত ২২ রান করেন রাজা। ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৩১ বলে অপরাজিত ৬২ রান করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন পেরেরা।
এবারের আসরে ৭ ম্যাচ খেলে ১৩ উইকেট শিকার করেছেন রিশাদ। ৩ ম্যাচ খেলে সাকিব নেন ১ উইকেট।