ঢাকা, ১২ জুন ২০২৫ (বাসস) : গ্র্যান্ড স্ল্যামে আয়কৃত অর্থের লাভের আরও বেশি অংশের জন্য খেলোয়াড়দের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছরের চ্যাম্পিয়নশীপের জন্য উইম্বলডনের পুরস্কারের অর্থ সাত শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে রেকর্ড ৫৩.৫ মিলিয়ন পাউন্ড (৭২.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) করা হয়েছে।
পুরুষ ও নারী এককের বিজয়ী প্রত্যেকেই পাবেন ৩ মিলিয়ন পাউন্ড করে, যা ২০২৪ আসরের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশী। মূল ড্র’তে অংশ নেয়া খেলোয়াড়দের পাটিশিপেশন ফি ১০ শতাংশ বাড়িয়ে নূন্যতম ৬৬ হাজার পাউন্ড করা হয়েছে।
বছরে চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম থেকে প্রাপ্ত আয়ের একটি বড় অংশ দীর্ঘদিন ধরেই দাবী করে আসছিল খেলোয়াড়রা।
তারই ফলশ্রুতিতে অল ইংল্যান্ড ক্লাব এবারের আসরে প্রাইজমানি বাড়ানোর ঘোষনা দিয়েছে।
এপ্রিলে ২০ জন শীর্ষসারির খেলোয়াড় গ্র্যান্ড স্ল্যাম কর্তৃপক্ষের কাছে পত্রের মাধ্যমে পুরস্কারের অর্থ বাড়ানোর দাবী জানায়। ফ্রেঞ্চ ওপেন চলাকালীন এনিয়ে আলোচনায় বসে সংশ্লিষ্টরা।
অল ইংল্যান্ড ক্লাবের চেয়ারউইম্যান ডেবি জেভান্স উইম্বলডনের প্রাক-টুর্নামেন্ট মিডিয়া ব্রিফিংয়ে আজ বলেছেন, খেলোয়াড়দের ক্ষতিপূরণের প্রতি আমাদের দীর্ঘস্থায়ী প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রাখতে ক্লাব সম্পূর্ণরুপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা অত্যন্ত গর্বিত যে আপনি যদি ১০ বছর পিছনে ফিরে তাকান, তাহলে আপনি সেই সময়ের তুলনায় সর্বমোট ১০০ শতাংশ এবং এই বছর সাত শতাংশ বৃদ্ধি দেখতে পাবেন। আমরা খেলোয়াড়দের কথা শুনেছি, খেলোয়াড়দের সাথে যোগাযোগ করেছি। অবশ্যই আমরা সবসময় তাদের কথা শুনব এবং আলোচনা করব। কিন্তু চারটি ইভেন্ট, গ্র্যান্ড স্ল্যামে শুধুমাত্র পুরস্কারের টাকার উপর মনোযোগ টেনিসের চ্যালেঞ্জের মূলে পৌঁছায় না।
টেনিসের চ্যালেঞ্জ হলো খেলোয়াড়দের কোন অফ-সিজন থাকে না, যা তারা চায়। তাদের ক্রমবর্ধমান ইনজুরি রয়েছে যা নিয়ে তারা কথা বলছে এবং আমরা সবসময় বলেছি যে উইম্বলডন হিসেবে আলোচনার প্রেক্ষিতে সমাধান খুঁজে বের করার জন্য কথা বলতে ইচ্ছুক এবং সেই দরজা খোলা রয়েছে। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে ট্যুরের কাঠামো পরিবর্তনের কোন ধরনের প্রস্তাব আসেনি।
এবারের উইম্বলডনে সবচেয়ে বড় পরির্তণটি হলো লাইন জাজদের পরিবর্তে সেখানে লাইভ ইলেকট্রনিং কলিং সিস্টেম বসানো হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও ইউএস ওপেনের পথ ধরেই অল ইংল্যান্ড ক্লাব এই পরিবর্তণ সাধন করেছে। যদিও ফ্রেঞ্চ ওপেনে এখনো যন্ত্রের পরিবর্তে মানুষের উপরই নির্ভর করে ম্যাচগুলো পরিচালিত হয়েছে। ইলেকট্রনিস সিস্টেম ব্যর্থ হলে ব্যাক-আপ পদ্ধতিরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
আগামী ৩০ জুন থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত উইম্বলডন চলবে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উভয় বিভাগে কোর্টে নামবেন কার্লোস আলকারাজ ও বারবোরা ক্রেইচিকোভা।