বাসস
  ২৭ জুলাই ২০২৩, ১৪:৩৫

আল হিলালের কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করেননি এমবাপ্পে 

প্যারিস, ২৭ জুলাই, ২০২৩ (বাসস/এএফপি) : সৌদি পেশাদার ক্লাব আল হিলালের কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন পিএসজির তারকা স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে। ৩০০ মিলিয়ন ইউরোর বিশ্ব রেকর্ড চুক্তির প্রস্তাব সত্বেও সৌদি ক্লাবটিতে যাওয়া নিয়ে কোন আগ্রহই দেখা যাচ্ছেনা এমবাপ্পের মধ্যে। 
ফরাসি দৈনিক এল’ইকুইপি জানিয়েছে আল হিলাল ক্লাবের প্রতিনিধিদের সাথে কোন ধরনের আলোচনাই করতে চাচ্ছেন না এমবাপ্পে। বুধবার ফরাসি তারকার সাথে আলোচনা করতে প্যারিসে এসেছেন আল হিলালের একটি প্রতিনিধি দল। পত্রিকাটির রিপোর্টের সূত্র ধরে জানা গেছে জেনিথ সেইন্ট পিটার্সবার্গ থেকে ব্রাজিলিয়ান ম্যালকমকে দলে নেবার বিষয়টি চূড়ান্ত করতে সৌদি ক্লাবের কর্মকর্তারা প্যারিসে এসেছে। সাথে এমবাপ্পের বিষয়টিও তাদের আলোচনার এজেন্ডায় রয়েছে। কিন্তু তাদের এই এজেন্ডা সফল হয়নি বলে এল’ইকুইপির দাবী। এ সম্পর্কে তারা বলেছেন, ‘২৪ বছর বয়সী এমবাপ্পে তাদের সাথে কোন আলোচনা করতে চায়নি। লেস ব্লুজদের অধিনায়ক কখনই এই ক্লাবে যাওয়া বা আলোচনা করা নিয়ে কোন ধরনের আগ্রহ দেখায়নি।’
এমবাপ্পের পক্ষ থেকে কোন ধরনের আগ্রহ না দেখালেও পিএসজি এই ফরোয়ার্ডের সাথে আলোচনা করতে রিয়াদের ক্লাবটিকে অনুমতি দিয়েছে। পিএসজির সাথে এমবাপ্পের চুক্তির মেয়াদ আর মাত্র এক বছর বাকি আছে। যে কারনে আগামী গ্রীষ্মে ফ্রি টান্সফারে ছাড়ার চেয়ে এবারই কিছু একটা সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছে পিএসজি। যদিও এমবাপ্পে নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। গত মৌসুম থেকেই এমবাপ্পের প্রতি আগ্রহ জানিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এদিকে গত সপ্তাহে জাপান ও দক্ষিণ এশিয়ান সফর থেকে বাদ দেয়ায় এমবাপ্পে ও ফরাসি ক্লাবটির মধ্যে সম্পর্ক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। পিএসজির সাথে কোন ধরনের সমাধানে আসতে না পারলে পুরো বছরই হয়তো তাকে দলের বাইরে থাকতে হতে পারে, এমন গুঞ্জনও উঠেছে। 
পিএসজির হয়ে ২৬০ ম্যাচে সর্বকালের সর্বোচ্চ ২১২ গোল করেছেন এমবাপ্পে। সতীর্থ নেইমারের পর পিএজিতে তিনি সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড়ের তালিকায় এখনো দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। ২০১৭ সালের আগস্টে মোনাকো থেকে এক বছরের ধারে যখন পিএসজিতে যোগ দিয়েছিলেন তখনো এমবাপ্পে টিনএজার ছিলেন। পরের বছরই ১৮০ মিলিয়ন ইউরোর স্থায়ী চুক্তিতে তিনি পিএসজিতে থিতু হন। ২০১৭ সালে ২২২ মিলিয়ন ইউরোতে ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার প্যারিসে এসেছিলেন।