বাসস
  ৩০ জুলাই ২০২৩, ২০:২৮

এফবিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন আগামীকাল

ঢাকা, ৩০ জুলাই, ২০২৩ (বাসস) : ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) ২০২৩-২০২৫ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন আগামীকাল সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিত হবে।
এফবিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের মোট ৮০ জন পরিচালকের মধ্যে গঠনতন্ত্র অনুসারে চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ১৭ জন করে মোট ৩৪ জন পরিচালক হিসেবে ইতোমধ্যে মনোনিত হয়েছেন। এর বাইরে চেম্বার গ্রুপ ২৩ জন এবং খাতভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশন থেকে ২৩ টি পদে সম্মিলিত নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও চেম্বার গ্রুপের ২৩টি পদের বিপরীতে ২৩ টি মনোনয়ন পত্র জমা পড়ায় চেম্বার গ্রুপের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। খাতভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের ২৩ পদের বিপরীতে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন ৪৯ জন। এর মধ্যে পরিচালক প্রার্থী হিসেবে ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ প্যানেল থেকে ২৩ জন, সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ প্যানেল থেকে ২৩ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন ৩ জন।
সোমবার সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোট গ্রহণ শেষে ভোট গণনা করে নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করা হবে। নির্বাচিত পরিচালকদের ভোটে আগামী ২ আগস্ট ২০২৩ এফবিসিসিআই সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ছয়জন সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন জানান, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সঠিক নেতৃত্বের হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে চায় এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ। তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু এবং অংগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে একটি স্বতন্ত্র নির্বাচন বোর্ড গঠন করেছে এফবিসিসিআই। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য থাকবে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়া।’ তিনি সকল ভোটারদের শৃঙ্খলা বজায় রেখে উৎসবমূখর পরিবেশে ভোট প্রদানের অনুরোধ করেন।
নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান এ. মতিন চৌধুরী বলেন, ‘সবাই যেন সুষ্ঠুভাবে ভোট প্রদান করতে পারে এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের চেষ্টা থাকবে এই নির্বাচন যেন সুষ্ঠুভাবে এবং আনন্দঘন পরিবেশে সম্পন্ন করতে পারি।’ এসময় নিয়ম  মেনে এবং শৃঙ্খলা বজায় রেখে ভোট প্রদানের জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে ভোট প্রদান বিষয়ক নির্দেশনায় এফবিসিসিআই নির্বাচন বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভোট দেয়ার জন্য একজন ভোটারকে একটি মাত্র ব্যালট পেপার সরবরাহ করবে পোলিং অফিসাররা। কোন ভোটারকে ডুপ্লিকেট বা অতিরিক্ত ব্যালট দেয়া হবে না। ব্যালট পেপার সরবরাহের সময় ভোটারের কাছ থেকে তার ভোটার আইডি কার্ড রেখে দেয়া হবে, যা আর ফেরত দেয়া হবে না। একজন ভোটার ব্যালট পেপারে উল্লিখিত প্রার্থীদের মধ্যে ২৩ জনকে ভোট দিতে পারবেন। ২৩ জনের কম বা বেশি প্রার্থীকে ভোট দিলে ব্যালটটি বাতিল বলে গণ্য হবে।
নির্বাচন বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ি, ভোটার ছাড়া অন্য কারো নির্বাচন কেন্দ্রে প্রবেশাধিকার থাকবে না। নির্ধারিত  ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া কোন প্রার্থী বা ভোটার কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
ভোটের দিন নির্বাচন কেন্দ্রের ১০০ গজের মধ্যে কোন প্রচার-প্রচারণা, মিছিল বা শো-ডাউন করতে পারবেন না প্রার্থীরা। নির্বাচন কেন্দ্র বা তার আশেপাশে কোন প্রার্থী ভোটারদের উপহার সামগ্রী প্রদান করতে পারবেন না, এমন কি কোন প্রার্থী বা ভোটার নির্বাচন কেন্দ্রে কোন প্রকার আগ্নেয়াস্ত্র বা বিপদজনক কোন বস্তু বহন করতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, ভোট গ্রহণের ১৫ মিনিট পূর্বে সকল প্রার্থীর উপস্থিতিতে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স উন্মুক্ত করে প্রদর্শন করা হবে এবং সিলগালা করে ব্যালট বাক্স বন্ধ করা হবে।
এফবিসিসিআইয়ের ২০২৩-২০২৫ মেয়াদের নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সাবেক সভাপতি এ. মতিন চৌধুরী। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক মো. শামছুল আলম এবং অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক কে এম এন মঞ্জুরুল হক।