বাসস
  ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯:৫১

জলবায়ু সহিষ্ণু অবকাঠামোতে এআইআইবি’র অর্থায়ন বৃদ্ধি চায় বাংলাদেশ 

ঢাকা, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : মিশরের শারম আল শেখে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) পরিচালনা পর্ষদ এবং ৮ম বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের বার্ষিক সভায় জলবায়ু অর্থায়ন এবং সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগের মধ্যে সেতু বন্ধনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সর্ম্পক বিভাগের সচিব শরিফা খানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল ২৫ ও ২৬ সেপ্টেম্বর দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত সভায় অংশগ্রহণ করে। 
শরিফা খান সভায় জলবায়ুসহিষ্ণু অবকাঠামো নির্মাণে অধিক অর্থায়নেরর জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এবারের বার্ষিক সভার মূল প্রতিপাদ্য ‘চ্যালেঞ্জিং বিশ্বে টেকসই প্রবৃদ্ধি’ অত্যন্ত সময়োপযোগী ও তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা বিশ্ব সম্প্রদায়, উন্নত থেকে উন্নয়নশীল সকল দেশই এই মুহুর্তে বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। যার বেশিরভাগই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ইত্যাদির কারণে উদ্ভূত। বিশেষ করে জলবায়ু সহিষ্ণু অবকাঠামো নির্মাণ বর্তমান সময়ে অত্যন্ত জরুরী। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবার ঝুঁকিতে আছে। তাই বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন এবং আসন্ন সংকট এড়াতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ন্যায্য অংশীদারিত্বের বিষয়ে এআইআইবি’র ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের পক্ষে শরিফা খান সভায় এ বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
সভায় এআইআইবি সভাপতি এবং বোর্ডের চেয়ারম্যান জিন লিকুন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সদস্যদের প্রচেষ্টায় একযোগে কাজ করার আশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আগামীতে জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এআইআইবি সদস্যদের পাশে থাকবে। আমাদের অবশ্যই গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন দ্রুত কমাতে, আবহাওয়ার চরম অবস্থায় শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এবং পৃথিবীতে জীবন সুরক্ষার প্রাকৃতিক পুঁজিকে সুরক্ষা দিতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল গভর্র্ণর্স বিজনেস রাউন্ড টেবিল, সেমিনার, গভর্ণর্স অফিশিয়াল সেশনে অংশগ্রহন করে। পাশাপাশি এআইআইবি’র বিনিয়োগ অপারেশন অঞ্চল১- দক্ষিণ এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. উর্জিত প্যাটেলের সাথে দ্বিপাক্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিপাক্ষিক সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল বর্তমান বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে এআইআইবি’র ঋণের শর্তসমূহ আরও সহনশীল করার উপর গুরুত্বারোপ করে। বাংলাদেশে বর্তমানে এআইআইবি’র চলমান বিভিন্ন প্রকল্প এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাব্য প্রকল্প নিয়েও দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ২০১৬ সালে বিদ্যুৎ খাতে ১৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে এআইআইবি’র বিনিয়োগ শুরু হয়েছিল। প্রথম ৩ বছরে এআইআইবি’র  অর্থায়ন ছিল ৪টি প্রকল্পের বিপরীতে ৪৪৫ মিলিয়ন ডলার, যা বর্তমানে ১৮টি প্রকল্পের বিপরীতে ৩২৭০ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। আগামী ৫ বছরের জন্য বাংলাদেশে এআইআইবি’র ৪.৫ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন পাইপলাইনে রয়েছে।