বাসস
  ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:২২

গোপালগঞ্জে আমনের ৮২ ভাগ চাল সংগ্রহ করেছে খাদ্য অধিদপ্তর

॥ মনোজ কুমার সাহা ॥
টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ), ১৮ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস) : গোপালগঞ্জে আমন সংগ্রহ অভিযানে  শতকরা ৮২ ভাগ চাল সংগ্রহ করেছে  খাদ্য অধিদপ্তর।
গোপালগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলায় ৪ হাজার ৭৭ টন ৪১০ কেজি চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয় খাদ্য অধিদপ্তর। এরমধ্যে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ৩ হাজার ২২ টন ৮০০ কেজি চাল সংগ্রহ করেছেন। গত বছরের নভেম্বরে আমন সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি আমন সংগ্রহ অভিযান সমাপ্ত হবে। এরমধ্যে শতভাগ চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) সুপ্রকাশ চাকমা।
ওই কর্মকর্তা বলেন, লক্ষ্যমাত্রার ৪ হাজার ৭৭ টন ৪১০ কেজি চাল সংগ্রহের জন্য আমরা জেলার ৩৭টি চাল কলের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। মিলগুলো সব চাল সরবরাহ করবে। এছাড়া খাদ্য অধিদপ্তর ৮৬ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে। আমরা ৮৬ টন চালের জন্য কোটালীপাড়া উপজেলার একটি অটো মিলের সাথে চুক্তি করেছি। ওই মিল থেকে আমরা এ পর্যন্ত ২০ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহ করেছি। তারা বাদবাকী চাল ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সরবরাহ করবে। 
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) সুপ্রকাশ চাকমা আরো বলেন, গোপালগঞ্জ সদর খাদ্য গুদামে ১ হাজার ১৪৭ টন ৩৬০ কেজি চাল, মুকসুদপুর খাদ্য গুদামে ২ হাজার ৫৩ টন ৫০ কেজি চাল, টুঙ্গিপাড়া খাদ্য গুদামে ৬৮৩ টন, কোটালীপাড়া খাদ্যগুদামে ১২৭ টন ও কশিয়ানী খাদ্য গুদামে ৬৭ টন চাল সংগ্রহ অভিযান চলছে। প্রতি কেজি চাল ৪৪ টাকা দরে ক্রয় করা হচ্ছে।  গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ৯টি, মুকসুদপুর উপজেলার ১০টি, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ১টি, কোটালীপাড়া উপজেলার ৭টি, কাশিয়ানী উপজেলার ১০টি চাল কলের সাথে লক্ষ্যমাত্রার ৪ হাজার ৭৭ টন ৪১০ কেজি আমন ক্রয়ের চুক্তি অনেক আগেই সম্পন্ন হয়েছে। 
চাল সংগ্রহের অগ্রগতি সম্পর্কে ওই কর্মকর্তা বলেন, গোপালগঞ্জ সদরে ৬৩২ টন ২৮০ কেজি, মুকসুদপুরে ১ হাজার ৬২৩ টন ৬৬০ কেজি, টুঙ্গিপাড়ায় ৬৬০ টন ৪২০ কেজি, কোটালীপাড়ায় ৮৫ টন ৯৮০ কেজি ও কাশিয়ানীতে ২০ টন ৪৬০ কেজি আমন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আমন চাল সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২২ টন ৮০০ কেজি ।
গোপালগঞ্জ সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রবীর কুমার কীর্ত্তনীয়া বলেন, আমর খাদ্য গুদামে প্রায় ৭শ’ টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। চাল সংগ্রহের শতকরা হার বেশ ভালো। চুক্তিবদ্ধ মিলগুলো বাদবাকী চাল সরবারহ করবে বলে জানিয়েছে। অমন সংগ্রহ অভিযান ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। তাই আশা করা হচ্ছে, মিল মালিকরা চুক্তির শতভাগ চাল সরবরাহ করবেন। 
গোপালগঞ্জের প্রগতি অটো রাইচ মিল কর্তপক্ষ জানিয়েছে, তারা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাল খাদ্যগুদামে সরবরাহ করছে। তাই চুক্তি অনুযায়ী তারা সরবরাহ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ২৮ ফেব্রুয়ারির আগেই প্রগতি অটো রাইচ মিল কর্তপক্ষ চুক্তির সব আমন চাল সরবরাহ করবে বলে জানাগেছে।