বাসস
  ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৯

স্বর্ণ পরিশোধনগার শিল্পে ১০ বছরের কর অবকাশ সুবিধা চায় বাজুস

ঢাকা, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ (বাসস): সারা দেশে ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) বসানোর দাবি প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ জুয়েলারি এসোসিয়েশন (বাজুস)। পাশাপাশি স্বর্ণ পরিশোধনগার শিল্পে ১০ বছরের কর অবকাশ সুবিধা চেয়েছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার আগারগাঁও রাজস্ব ভবনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) আয়োজিত প্রাক বাজেট আলোচনায় এ প্রস্তাব করে সংগঠনটি। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে বাজুস ও আরও কয়েকটি সংগঠনের  কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায় বলেন, সারাদেশে ৪ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে ইএফডি বসানো হলে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব আদায় করতে পারবে। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সমতা আসবে।
সোনার উপর ৩ শতাংশ হারে ভ্যাট নির্ধারণ, জুয়েলারি সংশ্লিষ্ট কর অব্যাহতি প্রদান, অপরিশোধিত ও আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণের উপর কাস্টমস ডিউটি কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাজুস।
বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায় বলেন, স্বর্ণ নীতিমালা সংশোধনের মাধ্যমে পর্যটকদের সোনার বার আনা বন্ধ করা, ট্যাক্স ফ্রী সোনার অলংকার ১০০ গ্রামের পরিবর্তে ৫০ গ্রাম করার প্রস্তাব করছি। তিনি পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে ব্যাগেজ রুল সমন্বয় ও একজন যাত্রীকে একবার ব্যাগেজ রুলের সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব দেন।
বাংলাদেশ ব্রেড, বিস্কুট ও কনফেকশনারি প্রস্তুতকারক সমিতি মূসক আইনের ২৬ ধারার আলোকে অব্যাহতির তালিকায় তৈরি কনফেকশনারি পণ্যকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেন। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের উপর ন্যূনতম কর ০.৬ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.১ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে ইক্যাব।
৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান রিটার্ন দাখিল করে কিনা তা কর্মকর্তাদের খোঁজ নিতে বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান। পাশাপাশি জুয়েলারি ও ই-কমার্স খাতকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।