ঢাকা, ১৭ মে, ২০২৫ (বাসস) : যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় দলের অন্তর্ভুক্ত কয়েকটি রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল শুক্রবার কংগ্রেসের প্রতি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ট্যাক্স বিলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ন্ত্রণে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানিয়েছেন।
সান ফ্রান্সিসকো থেকে এএফপি জানায়, ৪০টি অঙ্গরাজ্যের শীর্ষ আইন কর্মকর্তারা কংগ্রেসের নেতাদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বলেন, 'এ ধরনের ব্যাপক একটি নিষেধাজ্ঞার প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী এবং এআই-সংক্রান্ত পরিচিত ক্ষতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক যেসব পদক্ষেপ রাজ্যগুলো নিয়েছে, তা পুরোপুরি ধ্বংস করে দেবে।'
চিঠিতে বলা হয়, 'এই বিলটি রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় দলের আইনসভাগুলোর গৃহীত ও বিবেচনাধীন শতাধিক বিদ্যমান ও প্রস্তাবিত রাজ্য আইনকে প্রভাবিত করবে।'
প্রতিনিধি পরিষদের এনার্জি অ্যান্ড কমার্স কমিটি যে বাজেট পুনর্মিলন বিল সংশোধন করেছে, তাতে রাজ্যগুলোকে আগামী ১০ বছর এআই বা ‘স্বয়ংক্রিয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ ব্যবস্থা’ সংক্রান্ত কোনো নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে নিষেধ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, 'এই সংশোধনী কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর নামান্তর এবং রাজ্যগুলোর ক্ষেত্রেও একই পথ অনুসরণ বাধ্যতামূলক করে তুলছে। এই বিল কোনো বিকল্প বা সম্পূরক কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর কথাও বলছে না, ফলে এআই-সম্পর্কিত সম্ভাব্য ক্ষতির বিরুদ্ধে আমেরিকানরা সম্পূর্ণ অরক্ষিত থেকে যাবে।'
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, কিছু রাজ্য ইতোমধ্যে এআই-নির্মিত পর্নোগ্রাফি, ভুয়া ভোটার বিভ্রান্তিকর ভিডিও (ডিপফেক), স্প্যাম কল বা টেক্সট, এবং পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রতিরোধে আইন প্রণয়ন করেছে।
'এসব আইন ও বিধিমালা বহু বছর ধরে ভোক্তা, শিল্প ও অধিকারকর্মীদের অংশগ্রহণে সুচিন্তিত প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হয়েছে,' বলা হয় চিঠিতে।
এদিকে, শুক্রবার রিপাবলিকান কট্টর ব্যয়সংযমপন্থীরা ট্রাম্পের ‘ওয়ান বিগ, বিউটিফুল বিল’ নামে পরিচিত বিশাল বাজেট ও কর-বিলের অগ্রগতি থামিয়ে দিয়েছে। ফলে ট্রাম্পের ঘরোয়া নীতিমালার এই কেন্দ্রীয় উদ্যোগটি বড় ধাক্কা খেয়েছে।
এই বিলটিতে ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদের করছাড় সম্প্রসারণের সঙ্গে যুক্ত করতে চাইছেন সরকারি ব্যয়ের কিছু অংশে কাটছাঁট, যার ফলে লক্ষ লক্ষ দরিদ্র আমেরিকান স্বাস্থ্যসেবা হারাতে পারেন।
তবে রিপাবলিকান পার্টির অভ্যন্তরীণ বিভাজন ও নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা বিলটির ভাগ্য অনিশ্চিত করে তুলেছে। আগামী সপ্তাহে এটি প্রতিনিধি পরিষদে পাস হবে কি না, তা নিয়ে গুরুতর সংশয় তৈরি হয়েছে।
তবে বাজেট কমিটির ‘না’ ভোটই চূড়ান্ত নয়। বিলটি পুনরায় সংশোধন করে রোববার রাত ১০টা (বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোর ৪টা) থেকে ফের আলোচনার জন্য কমিটিতে তোলা হবে এবং পরে আবার ভোটে দেওয়া হবে।