ঢাকা, ১৪ জুন, ২০২৫ (বাসস) : ইসরাইলি অভিযানের জবাবে ইরান পাল্টা হামলা শুরু করার পর শুক্রবার ওয়াল স্ট্রিটে শেয়ারবাজারে বড় ধরনের পতন হয়েছে। সেখানে তেলের দাম বাড়লেও বেশিরভাগ খাতের শেয়ারই নিম্নমুখী ছিল।
নিউইয়র্ক থেকে এএফপি জানায়, যেখানে তেল উৎপাদক ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার উত্থান দেখেছে, সেখানে সপ্তাহান্তের আগে বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে শেয়ার বিক্রি করেছে। ফলে বড় সূচকগুলো সারা দিন ধরেই নেতিবাচক ধারায় ছিল।
বি. রাইলি ওয়েলথ-এর প্রধান বাজার কৌশলবিদ আর্ট হোগান বলেন, মে মাস ও জুনের শুরুতে বাজার ভালো পারফর্ম করেছিল। এখন বিনিয়োগকারীরা কিছুটা লাভ তুলে নিচ্ছে।
বাজার বিশ্লেষনে দেখা গেছে, ডাও জোন্স ইনডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ ১.৮ শতাংশ কমে ৪২,১৯৭.৭৯ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ১.১ শতাংশ হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৫,৯৭৬.৯৭ পয়েন্টে এবং টেকনোলজিভিত্তিক নাসডাক কম্পোজিট ১.৩ শতাংশ পড়ে হয়েছে ১৯,৪০৬.৮৩ পয়েন্ট।
বিশ্লেষকরা জানান, শুক্রবারের বিক্রয় পরিস্থিতি ছিল নিয়ন্ত্রিত এবং আতঙ্কজনক নয়।
ইন্টারঅ্যাকটিভ ব্রোকার্সের স্টিভ সসনিক বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা কিছুটা ঝুঁকি কমাচ্ছে, তবে এটি কোনো আতঙ্কজনক বিক্রির লক্ষণ নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাজার এখন অপেক্ষা করছে সপ্তাহান্তে কী ঘটে, কারণ পরিস্থিতি খুবই অস্থির ওপরিবর্তনশীল।’
এদিকে একটি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের পর ক্রেডিট কার্ড ও পেমেন্ট কোম্পানিগুলোর ওপর চাপ পড়ে। যেখানে বলা হয়েছে, ওয়ালমার্ট ও অ্যামাজন নিজেদের স্টেবলকয়েন চালুর বিষয়টি বিবেচনা করছে। যা প্রচলিত পেমেন্ট পদ্ধতির জন্য হুমকি হতে পারে।
ফলে ভিসা ও পেপ্যালের শেয়ার প্রায় ৫ শতাংশ কমেছে এবং আমেরিকান এক্সপ্রেস ৩.৪ শতাংশ হারিয়েছে। অন্যদিকে, অ্যাডোবি ৫.৩ শতাংশ পড়ে গেছে, যদিও কোম্পানিটি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি মুনাফা করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বিনিয়োগ সত্ত্বেও রাজস্ব প্রবৃদ্ধি আশানুরূপ না হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা হতাশ।
তবে, ইরান-ইসরাইল সংঘাতের প্রেক্ষিতে তেলের দাম ৭ শতাংশের বেশি বেড়ে যায়। যার ফলে হ্যালিবার্টন ৫.৫ শতাংশ এবং কোনোকোফিলিপস শেয়ারমূল্য ২.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।