ট্রাম্পের ইরান ইসরাইল যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় এশীয় শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বগতি

বাসস
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ১৪:৪৭

ঢাকা, ২৪ জুন, ২০২৫ (বাসস) : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়ার পর মঙ্গলবার এশিয়ার শেয়ারবাজারগুলো ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। পাশাপাশি, জ্বালানি তেলের বাজারে বড় ধরনের সংকটের আশঙ্কা হ্রাস পাওয়ায় তেলের দাম কিছুটা কমে গেছে। 

টোকিও থেকে এএফপি জানায়, ইরান যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার প্রতিশোধ নিতে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালীতে তেল পরিবহন বন্ধ  না করায় বিনিয়োগকারীরা স্বস্তি পেয়েছেন। ইরান সোমবার কাতারে একটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার দাবি করে। যদিও কাতার পরিস্থিতিকে  ‘স্থিতিশীল’ বলে আখ্যা দেয়। 

বিশ্লেষকরা জানান, এতে তেলক্ষেত্র বা জ্বালানি অবকাঠামোর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। 

এসপিআই অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের স্টিফেন ইনেস বলেন, ‘তেহরান অনেকটা ঠান্ডা মাথায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। তাদের ‘প্রতিশোধ’ কাতারের মার্কিন ঘাঁটিতে আঘাত করেছে। শিরোনাম পাওয়ার জন্য যথেষ্ট জোরে, কিন্তু তেলবাজারকে না নাড়িয়ে দেওয়ার মতোই শান্তভাবে।

তিনি আরও বলেন, ‘যখন এটা পরিষ্কার হয়ে গেল, তখনই যুদ্ধজনিত প্রিমিয়াম হঠাৎ করেই তেলের দাম থেকে ঝরে পড়ে। ফলে সোমবার রাতে ব্রেন্ট ও ডব্লিউটিআই দুই চুক্তির দামই ৭ শতাংশের বেশি হ্রাস পায়।

মঙ্গলবার সকাল নাগাদ উভয় তেল চুক্তির দাম ২ শতাংশের বেশি হ্রাসে ছিল।

এশিয়ান বাজারে বিনিয়োগকারীদের মনোভাব ছিল ইতিবাচক। টোকিও ও হংকং সূচক বেড়েছে ১.৪ শতাংশ করে।

সাংহাই ০.৮ শতাংশ এবং সিউল ২.৭ শতাংশ উত্থানে ছিল। সিঙ্গাপুর ০.৭ শতাংশ, সিডনি ১.১ শতাংশ এবং তাইপেই ১.৮ শতাংশ বেড়েছে, তবে জাকার্তা ১.৭ শতাংশ কমেছে।

ট্রাম্প জানান, ইরান ও ইসরাইল একটি ধাপে ধাপে বাস্তবায়নযোগ্য যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। যা তাদের সংঘাতের ‘আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি’ নিয়ে আসবে। যদিও তেহরানে এখনও কিছু হামলা চলছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার বলেন, ইসরাইল যদি হামলা বন্ধ করে, তবে তেহরানও আর আঘাত চালাবে না। 

এমইউএফিজ-এর বিশ্লেষক মাইকেল ওয়ান লিখেছেন, যুদ্ধবিরতির সুনির্দিষ্ট বিবরণ এখনো পরিষ্কার নয়। তাই, শান্তি ও উত্তেজনা প্রশমনের বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত নয়।

তিনি আরও বলেন, ‘তবে সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলো ইঙ্গিত করছে যে ইরান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। যদি তা সত্য হয়, তাহলে সম্ভাব্য তেল সরবরাহ বিঘ্নের ভয়াবহ ঝুঁকিগুলো অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে।

বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে, ডলারের দরপতন হয়েছে। কারণ, ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর মিশেল বোম্যান জানিয়েছেন, জুলাই মাসের বৈঠকে মুদ্রাস্ফীতি স্থির থাকলে তিনি সুদের হার কমাতে সমর্থন দেবেন। বর্তমানে বাজারে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে যে সেপ্টেম্বরে সুদের হার হ্রাস আবার শুরু হতে পারে।

ওয়ান বলেন, বোম্যান ইঙ্গিত দিয়েছেন যে শুল্ক আলোচনায় চলমান অগ্রগতি নীতিমালা সামঞ্জস্য করার জন্য একটি কম ঝুঁকিপূর্ণ অর্থনৈতিক পরিবেশ প্রদান করছে’ এবং ডলারকে দুর্বল করে দিচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
এভারকেয়ারে বেগম খালেদা জিয়া ও হাদির খোঁজ নিলেন মির্জা ফখরুল
ওসমান হাদিকে এভায়কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে
ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে সাভারে বিক্ষোভ সমাবেশ
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে স্বদেশে পা রাখবেন তারেক রহমান
বাগেরহাটে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় গন দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত
দক্ষিণ এশিয়ায় যুব জলবায়ু নেতৃত্বের বলিয়াপাড়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশি সোহানুর রহমান
ইউএনইএ-৭ এ বিজ্ঞানভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ওপর জোর বাংলাদেশের
এই হামলা বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত : প্রধান উপদেষ্টা
বর্তমান সরকার সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতি সমান শ্রদ্ধাশীল : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা
গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক কৃষি সম্মেলন
১০