বাসস
  ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:২৭

ইসরাইল ও মিসর ছাড়া প্রায় সব বৈদেশিক সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র

ঢাকা, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : বিশ্বের বৃহত্তম দাতা দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার শুধুমাত্র ইসরাইল ও মিসরের জন্য জরুরি খাদ্য, সামরিক সহায়তা ছাড়া সব ধরনের বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করেছে।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের সময় বৈদেশিক সহায়তার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ সংক্রান্ত ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি গ্রহণের আশ্বাস দেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক দিন পর দেশটির নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও’র একটি অভ্যন্তরীণ আদেশের মাধ্যমে এ খবর জানা যায়।

এই আদেশে সুস্পষ্ট  বলা হয়েছে, ‘প্রতিটি নতুন ও বিদ্যমান সহায়তা সম্প্রসারণের প্রস্তাব পরিপূর্ণভাবে পর্যালোচনা ও অনুমোদনের আগ পর্যন্ত এগুলোর অধীন বাধ্যতামূলকভাবে অর্থ বরাদ্দ করা যাবে না।’

উন্নয়ন সহায়তা থেকে শুরু করে সামরিক সহায়তাসহ সব ধরনের সহায়তায় এ নির্দেশ নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এ নির্দেশের কারণে ভুক্তভোগী হতে পারে ইউক্রেনও।

সদ্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে শত শত কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে।

এ নির্দেশের অর্থ এটিও যে এইডস ত্রাণবিষয়ক প্রেসিডেন্টের জরুরি পরিকল্পনা বা পিইপিএফএআরের জন্য অন্তত কয়েক মাস তহবিল বন্ধ হয়ে যাবে। এ পরিকল্পনার মাধ্যমে মূলত উন্নয়নশীল দেশগুলোয়, বিশেষ করে আফ্রিকায় এইডসের চিকিৎসায় ওষুধ কেনা হয়।

২০০৩ সালের জর্জ ডব্লিউ বুশ পিইপিএফএআর চালু করেছিলেন। ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষের জীবন বাঁচাতে এটি সহায়তা করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জরুরি খাদ্য সহায়তাও নতুন নির্দেশনার বাইরে থাকবে। সুদান ও সিরিয়াসহ বিশ্বের সংকটাপন্ন দেশগুলোতে লম্বা সময় ধরে খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।

নথিতে আগামী ৮৫ দিনের মধ্যে সব বৈদেশিক সহায়তা অভ্যন্তরীণভাবে পর্যালোচনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার দেওয়া তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্র ২০২৩ সালে ৬৪ বিলিয়ন  ডলারের বেশি বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তা দিয়েছে।

ট্রাম্প গত সোমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই ৯০ দিনের জন্য বৈদেশিক সহায়তা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন। তবে এ আদেশ কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, তাৎক্ষণিক ভাবে তা জানা যায়নি।