শিরোনাম
ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ (বাসস): জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস লেবাননের ভৌগোলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার প্রতি জাতিসংঘের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে দেশটিতে নতুন সরকার গঠনকে স্বাগত জানিয়েছেন।
জাতিসংঘ থেকে এএফপি জানায়, জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিচ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা লেবাননের নতুন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চাই, বিশেষ করে যুদ্ধবিরতি স্থায়ী করার বিষয়ে।’
গত ২৭ নভেম্বর লেবানন ও ইসরাইলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী লেবাননের সেনাবাহিনী দক্ষিণাঞ্চলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের সঙ্গে অবস্থান নেবে, এবং ইসরাইল ৬০ দিনের মধ্যে সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলি বাহিনী ও হিজবুল্লাহর মধ্যে চলা সংঘর্ষ হিজবুল্লাহকে দুর্বল করে ফেলে।
এর ফলে প্রায় দুই বছর ধরে চলা রাজনৈতিক অচলাবস্থার পর লেবাননে নতুন সরকার গঠনের পথ সুগম হয়।
লেবাননের নতুন প্রধানমন্ত্রী নাওয়াফ সালাম বলেছেন, তিনি ‘সংস্কার ও পুনর্গঠনের সরকার’ গঠন করতে চান। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থা পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার করেছেন, কারণ দেশটি দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে।
দীর্ঘদিন ধরে লেবাননের রাজনীতিতে প্রভাবশালী হিজবুল্লাহ সাম্প্রতিক যুদ্ধে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ইসরাইলের এক বিশাল বিমান হামলায় হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হন।
এরপর, ডিসেম্বর মাসে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হন, যাকে হিজবুল্লাহ ইরান থেকে অস্ত্র সরবরাহের মূল পথ হিসেবে ব্যবহার করত। এই দুই ঘটনায় দলটি বড় ধরনের ধাক্কা খায়।
রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে সাবেক সেনাপ্রধান জোসেফ আউনকে লেবাননের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। ধারণা করা হয়, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট। তার নেতৃত্বেই নাওয়াফ সালাম প্রধানমন্ত্রী হন।
বিশ্লেষকদের মতে, নতুন সরকার যুদ্ধবিরতি বজায় রাখা, অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থা অর্জন- সএই তিনটি প্রধান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
লেবাননের ভবিষ্যৎ এখন অনেকটাই নতুন সরকারের কার্যকারিতা ও কৌশলের ওপর নির্ভর করছে।