টানা ১০ দিনের ছুটি শেষে খুলেছে সরকারি অফিস

বাসস
প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫, ১১:৩৮ আপডেট: : ১৫ জুন ২০২৫, ১৮:১৬
বাংলাদেশ সচিবালয়। ছবি: বাসস

ঢাকা, ১৫ জুন, ২০২৫ (বাসস) : ঈদুল আযহা উপলক্ষে টানা ১০ দিনের ছুটি শেষে খুলেছে সরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।

গত ৭ জুন পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হয়। ঈদের ছুটি উপলক্ষে ৪ জুন ছিল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শেষ কর্মদিবস।

গত ৫ জুন শুরু হয় সংবাদকর্মীদের পাঁচদিন আর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১০ দিনের ছুটি।

সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াবের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের সব গণমাধ্যমের ঈদের ছুটি শেষ হয় ৯ জুন।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি শেষ হয়েছে গতকাল ১৪ জুন। এর আগে গত ৬ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় নির্বাহী আদেশে সরকারি অফিস ১১ ও ১২ জুন ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। 

এছাড়া ঈদের আগে দুই শনিবার অফিস চালু রাখারও সিদ্ধান্ত হয়। নির্বাহী আদেশে দুদিন ছুটির ফলে সবমিলিয়ে টানা ১০ দিনের ছুটি পান সরকারি চাকরিজীবীরা। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১১ ও ১২ জুন নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করে ৭ মে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে ১৭ ও ২৪ মে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অফিস খোলা থাকবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। সে অনুযায়ী দুই শনিবার অফিস খোলা ছিল।

সচিবালয়ে আজ সকাল থেকেই কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ প্রবেশ করেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা যায় একে অপরের সাথে শুভেচ্ছা ও কুশলাদি বিনিময় করছেন।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যাত্রী নিয়ে রাজধানীর টার্মিনালগুলোতে ঢুকছে বাস। পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়িও অন্যদিনের চেয়ে বেশি প্রবেশ করছে ঢাকায়। রাজধানীমুখী ট্রেনেও যাত্রীদের চাপ লক্ষ্য করা গেছে।

যাত্রীদের চাপ ও ব্যক্তিগত গাড়ি বেশি থাকলেও উল্লেখযোগ্য ভোগান্তির চিত্র দেখা যায়নি। তবে ঢাকায় সড়কে গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ গাড়ির চাপ ও মানুষের চলাচল অনেক বেড়েছে।

রাজধানীর বনশ্রী সড়কে দায়িত্বরত ট্রাফিক সফিউল আজম বলেন, সকাল থেকে অফিসগামী ব্যক্তিগত গাড়ির ভীষণ চাপ। পাশাপাশি গণপরিবহনের সংখ্যা ও যাত্রী আজ গত কয়েকদিনের তুলনায় বেশি। তবে যানজট যেন সৃষ্টি না হয় আমরা সে চেষ্টাই করছি।

যাত্রাবাড়ী, কমলাপুর, গাবতলি ও সায়েদাবাদ এলাকায় ঢাকায় ফেরা মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

সরেজমিনে দেখা যায়, যাত্রাবাড়ী, কমলাপুর এলাকার বিভিন্ন বাস স্টপেজে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা যাত্রীদের নামিয়ে বাসগুলো আবার নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাচ্ছে। লাল সবুজ, সোহাগ, এনা, ইকোনো, শ্যামলী, স্টার লাইন, গ্রিন লাইন-সহ বড় বড় বাস কোম্পানিগুলোর বাসের আধিক্য দেখা গেছে। সঙ্গে লোকাল বাসে করেও আসছেন অনেক যাত্রী।

ঢাকার টার্মিনালগুলো ঘুরে দেখা গেছে, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে যাত্রী নিয়ে একের পর এক বাস ঢুকছে রাজধানীতে।

এসব বাস থামছে গাবতলি, মহাখালী, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, কমলাপুর, ফকিরাপুল, জুরাইন, শনিরআখড়া, রায়েরবাগ, কাজলা এলাকায়। বাস থেকে নেমে কেউ রিকশা, কেউ সিএনজি অটোরিকশা আবার কেউ ঢাকার লোকাল বাসে যাচ্ছেন গন্তব্যে। 

কেউ কেউ যাচ্ছেন মতিঝিলে মেট্রোরেলের স্টেশনের দিকে। আবার কেউ মোটরসাইকেল ভাড়া করছেন।

অনেক যাত্রী জানান, অগ্রিম টিকেট কাটতে না পারায় তারা লোকাল বাসে করে ঢাকায় আসছেন।

এদিকে রাজধানীর প্রতিটি জায়গায় ট্রাফিক সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালনে তৎপর রয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টার আহ্বান
ভাঙন পরিলক্ষিত হলে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুততার সাথে সাড়া দিতে হবে
মাগুরায় ছেলের মোটরসাইকেল থেকে পড়ে মায়ের মৃত্যু
কুয়াকাটায় জেলের জালে ধরা পড়েছে ২৩ কেজির কোরাল মাছ
মোস্তফা মোহসীন মন্টুর মৃত্যুতে ড. কামাল হোসেনের শোক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু
মোস্তফা মহসিন মন্টুর মৃত্যুতে ইসলামী আন্দোলনের শোক 
জনগণের প্রত্যাশিত ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান
পার্বত্য অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিনষ্ট করা যাবে না: পার্বত্য সচিব
জামায়াত সংবাদপত্র ও সংবাদকর্মীদের স্বার্থরক্ষায় কাজ করবে
১০