সহিংস অপরাধে যুক্ত মার্কিনিদের এল সালভাদরের জেলে পাঠাতে চান ট্রাম্প

বাসস
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪০

ঢাকা, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার বলেছেন, সহিংস অপরাধে যুক্ত 'ঘরোয়া অপরাধী' মার্কিন নাগরিকদের এল সালভাদরের জেলে পাঠাতে পারলে তার ভালো লাগবে।

এতে করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বিদেশি কারাগারে পাঠানোর হুমকি আরও জোরদার করলেন।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, ওভাল অফিসে এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নাইব বুকেলেকে সঙ্গে নিয়ে এক বৈঠকে ট্রাম্প এ কথা বলেন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে লোকজনকে বিতাড়িত করে এল সালভাদরে পাঠানোর বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়।

৭৮ বছর বয়সী এই রিপাবলিকান নেতা আইনগত দিক বিবেচনায় নাগরিকদের বিদেশি কারাগারে পাঠানো কতটা সম্ভব—এই প্রশ্নকে পাশ কাটিয়ে নিজের অবস্থান আরও জোরালো করেন।

স্প্যানিশ ভাষার টিভি অনুষ্ঠান ‘ফক্স নোতিসিয়াস’-এ প্রচারের জন্য রেকর্ড করা এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, 'আমি তাদের বলি ঘরোয়া অপরাধী। তারা বড় হয়েছে এখানে, তারপর কোনো এক সময় তাদের ভেতরে কিছু একটা ভেঙে পড়ে, তারা মানুষকে বেসবল ব্যাট দিয়ে পেটায় কিংবা সাবওয়ে লাইনে ফেলে দেয়।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা বিষয়টি নিয়ে ভাবছি। আমি এটা করতে চাই। এটা করতে পারলে আমার ভালো লাগবে।'

সোমবার ট্রাম্প জানান, তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডিকে এই পরিকল্পনার আইনি দিক খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ নেওয়া আইনত সম্ভব কি না, তা এখনও পর্যালোচনার পর্যায়ে রয়েছে।

প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট সাংবাদিকদের বলেন, 'এটি একটি আইনগত প্রশ্ন, যা প্রেসিডেন্ট খতিয়ে দেখছেন। কেবলমাত্র আইনসম্মত হলে এবং কেবলমাত্র যারা সবচেয়ে সহিংস ও ধারাবাহিক অপরাধী—যাদের কেউই নিজের আশেপাশে দেখতে চায় না—তাদের ক্ষেত্রেই এই বিষয়টি বিবেচনায় আনবেন।'

‘নিজেকে বিশ্বের সবচেয়ে কুল স্বৈরশাসক’ বলে দাবি করা বুকেলে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুর পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের বন্দিদের গ্রহণ করার প্রস্তাব দেন।

ট্রাম্প ইতোমধ্যেই শতাধিক অভিবাসীকে—যাদের অধিকাংশের আইনগত সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার নেই—একটি শতাব্দী প্রাচীন যুদ্ধকালীন আইন প্রয়োগ করে এল সালভাদরে পাঠিয়েছেন। এই বিনিময়ে এল সালভাদর সরকারকে ৬ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছে।

তবে সম্প্রতি তিনি মার্কিন নাগরিকদেরও বিদেশি কারাগারে পাঠানোর ব্যাপারে আরও স্পষ্টভাবে কথা বলা শুরু করেছেন।

এর মধ্যে একটি বিতর্কিত ঘটনা হলো: এক অভিবাসী—কিলমার আবরেগো গার্সিয়া, যিনি মার্কিন মেরিল্যান্ডে বসবাস করছিলেন—তাকে ভুলক্রমে এল সালভাদরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, তিনি অবৈধ অভিবাসী ও এমএস-১৩ গ্যাংয়ের সদস্য, যদিও তার বিরুদ্ধে কোনো দণ্ড নেই।

এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্প প্রশাসনকে তাকে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেয়। হোয়াইট হাউস বলছে, একটি ‘প্রশাসনিক ভুলে’ তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

তবে বুকেলে সোমবার তার প্রত্যাবর্তনকে ‘নির্বোধ দাবি’ বলে উড়িয়ে দেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
সংস্কার ও জুলাই গণহত্যার বিচার ছাড়া জনগণ নির্বাচন মানবে না : গোলাম পরওয়ার
খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় মোশাররফ গ্রেফতার
আন্তঃবাহিনী আযান ও ক্বিরাত প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠিত
পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যা করা দরকার তা করা হবে : মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবে পার্বত্য উপদেষ্টা
বাঞ্ছারামপুরে  নির্যাতনের শিকার শিশুটির চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে এলেন তারেক রহমান
আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার : জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
জাফরুল্লাহ চৌধুরী তরুণদের কাছে অক্ষয় ও অমর হয়ে থাকবেন : ফারুক-ই-আজম
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে এনফ্রেল প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
জাফরুর নতুন কমিটি : অডেন সভাপতি ও আকতারুল সাধারণ সম্পাদক
দেশের মানুষ হাসিনার দৃশ্যমান বিচার ও সংস্কার দেখতে চায় : শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি
১০