ঢাকা, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : সার্বিয়ার বিক্ষোভকারীদের দুর্নীতি মোকাবিলা ও আইনের শাসন জোরদার করার আহ্বানকে সমর্থন করেছেন ইইউ’র সম্প্রসারণ প্রধান। তিনি ব্লকে যোগদানের প্রচেষ্টায় দেশটিকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার ওপর জোর দিয়েছেন। ব্রাসেলস থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
ইইউ সম্প্রসারণ কমিশনার মার্তা কোর্স মঙ্গলবার ইউরোপীয় নিউজরুম কনসোর্টিয়ামের সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সার্বিয়াকে ইউরোপীয় পথে ফিরিয়ে আনতে হবে।’
তিনি ‘আইনের শাসন, দুর্নীতি দমন ও সরকারি ক্রয়’-এর মতো বিষয়গুলোর দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘ইইউতে যোগদানের পথে আমরা সার্বিয়ার কাছ থেকে যা দাবি করছি তা প্রায় সার্বিয়ার বিক্ষোভকারীদের দাবির সাথে মিলে যায়।’
বলকান দেশটি ইইউতে যোগদানের প্রার্থী। দেশটি সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের সরকার বিরোধী বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেওয়ায় ১৯৯০-এর দশকের পর থেকে সবচেয়ে বড় অস্থিরতার ঢেউয়ে কেঁপে উঠেছে।
নভেম্বরে একটি ট্রেন স্টেশনের ছাদ ধসের ঘটনায় গভীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভের ঝড় ওঠে। বিক্ষোভের চাপে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেন ও সরকারের পতন ঘটে।
সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুসিক দাবি করেন, ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভ শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ, তিনি প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে ‘বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার’ অর্থ প্রদানের অভিযোগ এনেছেন।
ভুসিক এই মাসে এক আকস্মিক পদক্ষেপে একজন নবীন রাজনীতিক ডাক্তার জুরো ম্যাকুটকে সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করেন।
ম্যাকুট ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত সংসদকে নতুন সরকার অনুমোদনের জন্য রাজি করাতে পারবেন। যদি তিনি ব্যর্থ হন, তাহলে ভুসিককে নতুন নির্বাচন ডাকতে বাধ্য করা হতে পারে।
কোর্স বলেন, আমি আশা করি নতুন সরকার ইউরোপীয়পন্থী ও সংস্কারপন্থী হবে।’
ইউক্রেন যুদ্ধ সত্ত্বেও রাশিয়ার সাথে সার্বিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখার কারণে ভুসিকের সাথে ইইউর মাঝে মাঝে তীর্যক সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
বেলগ্রেডকে সদস্যপদ লাভের জন্য তাদের প্রচেষ্টা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছে ব্রাসেলস, তবে গভীর ভূ-রাজনৈতিক সংঘাতের সময়ে অস্থির বলকান অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশকে বিচ্ছিন্ন করার বিষয়ে ইইউও সতর্ক রয়েছে।