ট্রাম্পের গভীর সমুদ্র খনন নির্দেশনা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন : ফ্রান্স

বাসস
প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০০:০৭

ঢাকা, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মহাসাগরের উন্মুক্ত জলসীমায় গভীর সমুদ্র খনন দ্রুততর করার আদেশ দেওয়ার পর ফ্রান্স সোমবার অভিযোগ করেছে, যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে।

প্যারিস থেকে এএফপি জানায়, ওয়াশিংটন নিয়ন্ত্রণব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে বিশ্বের গভীরতম মহাসাগরের তলদেশে খনিজসমৃদ্ধ পিণ্ড উত্তোলনের জন্য খনন চালাতে চায়, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

ফ্রান্স গভীর সমুদ্র খননের ওপর বৈশ্বিক স্থগিতাদেশ আরোপের জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে, যতক্ষণ না এর পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া যায়।

ফ্রান্সের সমুদ্রবিষয়ক রাষ্ট্রদূত অলিভিয়ে পুভ্র দ’আর্ভর সাংবাদিকদের বলেন, 'গভীর সমুদ্র অঞ্চলের অধিকার অগ্রাহ্য করে খননের অনুমতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র 'অগ্রহণযোগ্য দখলনীতি' অনুসরণ করছে।'

তিনি বলেন, 'কেউই মহাসাগর ধ্বংস করার অধিকার দাবি করতে পারে না, বিশেষ করে যেখানে তাদের কোনো সার্বভৌম অধিকার নেই। এটি আন্তর্জাতিক আইনের মারাত্মক লঙ্ঘন।'

তিনি আরও যোগ করেন, 'গভীর সমুদ্র বিক্রির জন্য নয়।'

মহাসাগরের তলদেশে রয়েছে প্রযুক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ নানা মূল্যবান খনিজ। তবে এই অজ্ঞাত জগতের পরিবেশগত বাস্তবতা এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।

যখন গভীর সমুদ্র খননে বাণিজ্যিক আগ্রহ বাড়ছে, তখন বিশ্বব্যাপী নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো এই নতুন শিল্পের জন্য পরিবেশ সুরক্ষা ও ন্যায্যতার নীতি নির্ধারণে চেষ্টা চালাচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ-সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষের (আইএসএ) চুক্তিতে কখনোই স্বাক্ষর করেনি এবং এই সংস্থার সদস্যও নয়।

পুভ্র দ’আর্ভর জানান, আগামী জুনে ফ্রান্স যখন জাতিসংঘের মহাসাগর সম্মেলনের আয়োজন করবে, তখন তারা ৩২টি দেশের সমর্থনে গভীর সমুদ্র খননের বিরোধিতায় একটি জোট গঠন করেছে।

গত মাসে বিশজন বিশেষজ্ঞ একটি বৈজ্ঞানিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে অন্তত ১০ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত গভীর সমুদ্র খননের ওপর বৈশ্বিক স্থগিতাদেশের আহ্বান জানিয়েছেন, যতক্ষণ না যথেষ্ট গবেষণা সম্পন্ন হয়।

প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর নিযুক্ত বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ব্রুনো ডেভিড সাংবাদিকদের বলেন, 'এখন প্রয়োজন অপেক্ষা করা, এটি দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার সময় নয়।'

প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়, খনিজ উত্তোলনের জন্য সমুদ্রের তলদেশ খনন করলে শত শত বর্গকিলোমিটার এলাকায় বিশাল পরিমাণ কাদা ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং খাদ্য শৃঙ্খলে ভারী ধাতুর প্রভাব পড়তে পারে।

ডেভিড বলেন, 'বিজ্ঞানের দিকনির্দেশনায় আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে,' এবং তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপকে 'অবাস্তব কল্পনা' বলে অভিহিত করেন।

চীনের সবচেয়ে বেশি গভীর সমুদ্র অনুসন্ধান লাইসেন্স রয়েছে, তবে তারা এখনও খনন শুরু করেনি এবং আইএসএ-এর চূড়ান্ত নিয়মের অপেক্ষায় আছে, গত তারা সপ্তাহে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক স্বার্থের ক্ষতি করেছে এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
১ উইকেট দূরে নাসুম
চট্টগ্রামে অবৈধ আর্টিসনাল ট্রলিং বোট, জাল ও সামুদ্রিক মাছসহ ১ জন আটক
ইস্তাম্বুলে বিক্ষোভ মামলায় তুরস্কে ৮৭ জনকে খালাস
ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় একব্যক্তি নিহত
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় টাঙ্গাইলে দোয়া মাহফিল
সাতক্ষীরা সীমান্তে ভারতীয় বিভিন্ন মালামাল জব্দ 
সড়কের চাপ কমাতে ২০ শতাংশ পরিবহন রেল ও নৌপথে নিয়ে আসতে হবে : ফাওজুল কবির
ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৪
ফরিদপুরে নারীদের স্বাবলম্বী করতে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ 
ইউক্রেনের জন্য রুশ সম্পদ ব্যবহারের বিরুদ্ধে বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী
১০