ঢাকা, ৭ মে, ২০২৫ (বাসস) : জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্ৎস মঙ্গলবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, তিনি ‘একজন পাকা ইউরোপীয়’ নেতা হবেন। ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোও আশা করছে, জার্মানি এবার আরও সক্রিয় আন্তর্জাতিক ভূমিকা পালন করবে।।
বার্লিন থেকে এএফপি জানায়, জার্মান পার্লামেন্ট বুন্ডেস্টাগে ভোটের মাধ্যমে চ্যান্সেলর নির্বাচিত হওয়ার পর মের্ৎস বলেন, 'আমি ইউরোপীয় পার্লামেন্টে কাজ করেছি, যা আমাকে আজও গভীরভাবে প্রভাবিত করে।'
দায়িত্বগ্রহণের পর প্রথম পূর্ণ কর্মদিবসে মের্ৎস ফ্রান্স ও পরে পোল্যান্ড সফরে যাবেন—উদ্দেশ্য, অস্থির সময়ে প্রতিবেশী ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করা।
ইউরোপীয় দেশগুলো এমন সময়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার চেষ্টা করছে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘদিনের নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক সম্পর্ককে উল্টে দিচ্ছেন এবং রাশিয়া আগ্রাসী ভূমিকায় রয়েছে।
কিন্তু জার্মানির ভূমিকা গত কয়েক মাস ধরে কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছিল, গত নভেম্বরে সাবেক চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের সরকার পতনের পর দেশটি নতুন নেতৃত্বের অপেক্ষায় ছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে শান্তিচুক্তির আলোচনায় জার্মানি কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে—এমন প্রশ্নের উত্তরে মের্ৎস বলেন, 'বার্লিন, প্যারিস ও লন্ডনের মধ্যে সহযোগিতার একটি পরীক্ষিত কাঠামো রয়েছে।'
তিনি জার্মান সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম জেডডিএফ-কে বলেন, 'এক সরকার থেকে আরেক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের কারণে গত কয়েক মাস জার্মানি কিছুটা নীরব ছিল।' তবে তিনি আরও বলেন, 'এখন থেকে আমরা লন্ডন ও প্যারিসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে পরামর্শ করব।:
তিনি আরও যোগ করেন, 'আমরা যদি পোল্যান্ডকেও অন্তর্ভুক্ত করতে পারি, তাহলে তো আরও ভালো।'
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি ট্রাম্পের আগ্রহের কারণে ইউক্রেন সংকট নিয়ে আলোচনায় ইউরোপীয় দেশগুলো বাইরে ছিটকে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছে।
অভিবাসন বিষয়ে কঠোর অবস্থানের অঙ্গীকার করা মের্ৎস বলেন, 'ইউরোপীয় প্রতিবেশীদের মতামত অবশ্যই বিবেচনায় নেওয়া হবে।'
'আমি এই ইস্যুগুলো ফরাসি প্রেসিডেন্ট ও পোলিশ প্রধানমন্ত্রী উভয়ের সঙ্গেই আলোচনা করব—আমরা একটি সমন্বিত ইউরোপীয় নীতি প্রস্তুত করতে চাই,' বলেন তিনি।