ঢাকা, ৭ মে, ২০২৫ (বাসস) : গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা বুধবার জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ১১ জন নিহত ও অনেকেই আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের আটজন সদস্যও রয়েছে। ইসরাইল গাজায় তাদের আক্রমণাত্মক হামলা বৃদ্বির পরিকল্পনা করছে।
ইসরাইলের এই পরিকল্পনাকে আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দা জানানো হয়েছে।
গাজা সিটি থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
ইসরাইলের কট্টর-ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী মঙ্গলবার গাজাকে ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, বুধবারের বোমা হামলায় নিহত ১১ জনের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে।
বাসাল বলেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে একটি পরিবারের বাড়িতে সবচেয়ে মারাত্মক হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। হামলায় আল-কিদরা পরিবারের আট সদস্য নিহত ও ১২ জন আহত হন।
তিনি আরো জানান, নিহতদের বয়স দুই বছর থেকে ৫৪ বছর।
বাসাল বলেন, উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে ইসরাইলি বিমান হামলায় তিনজন নিহত ও আটজন আহত হয়েছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
গত ২০২৩ সালের অক্টোবরে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর হামলার ফলে যুদ্ধ শুরু হয়। দুই মাসের যুদ্ধবিরতির পর হামাসের বিরুদ্ধে গত ১৮ মার্চ ইসরাইল গাজায় সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু করে।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, ইসরাইল তাদের অভিযান পুনরায় শুরু করার পর থেকে কমপক্ষে ২ হাজার ৫০৭ জন নিহত হয়েছেন। ফলে যুদ্ধে মোট মৃতের সংখ্যা ৫২ হাজার ৬১৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
সরকারি পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এএফপি’র হিসাব অনুযায়ী, হামাসের হামলায় ইসরাইলি পক্ষের ১ হাজার ২১৮ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
হামাস ২৫১ জনকে অপহরণ করেছে, যাদের মধ্যে ৫৮ জন এখনো গাজায় আটক রয়েছে। অপহৃতদের মধ্যে ৩৪ জন নিহত হয়েছে বলে ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে।
জাতিসংঘ বারবার মানবিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনা সম্পর্কে সতর্ক করেছে, ইসরাইলের দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে সাহায্য অবরোধের পর আবারও দুর্ভিক্ষ দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।