দক্ষিণ কোরিয়ায় আদালত ভবনে দাঙ্গার অভিযোগে দু’জনের কারাদণ্ড

বাসস
প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৫, ১১:৪০

ঢাকা, ১৪ মে, ২০২৫ (বাসস) : দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালত গত জানুয়ারিতে সংগঠিত দাঙ্গার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার দুই ব্যক্তিকে কারাদণ্ড দিয়েছে। এই দাঙ্গায় অভিশংসিত সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের সমর্থকরা একটি আদালত ভবনে হামলা চালিয়েছিল।

সিউল থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপ্রধান সামরিক আইন জারি করার কারণে গ্রেপ্তার হন, ইউনের আটকের মেয়াদ বৃদ্ধি করার পর এই বছরের জানুয়ারিতে বিক্ষোভকারীরা সিউল পশ্চিম জেলা আদালতে হামলা চালায়।

বিক্ষোভকারীরা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করে দরজা ও জানালা ভেঙে আদালত ভবনে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায়। তারা ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের উপরও আক্রমণ করে।

আদালতের এক মুখপাত্র এএফপিকে জানিয়েছেন, সিউল পশ্চিম জেলা আদালত দুই ব্যক্তিকে কারাদণ্ড দিয়েছে। তাদের একজন কিম (৩৫) অন্য জন সো (২৮)। তাদেরকে যথাক্রমে এক বছর, ছয় মাস এবং এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, এই মামলাটি দেশের বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সহিংসতার একটি বিরল ঘটনা। গত ডিসেম্বরে ইউনের বেসামরিক শাসনকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টার পর ক্রমবর্ধমান মেরুকরণের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

রায় ঘোষণার পর আদালত এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘অপরাধের সামগ্রিক ফলাফল ছিল ভয়াবহ’। 

দক্ষিণ কোরিয়ার বিচার বিভাগের সিদ্ধান্তকে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে এবং ‘তাৎক্ষণিক প্রতিশোধ ’নেওয়ার আবেগ কর্তৃক পরিচালিত হয়েছে। 

গত বছরের এপ্রিলে সংসদীয় নির্বাচনে বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পর থেকে ইউন একজন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ছিলেন। 

সামরিক আইন ঘোষণা করে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে, ইউন ‘জনগণের স্বাধীনতা এবং সুখ লুণ্ঠনকারী রাষ্ট্রবিরোধী উপাদানগুলোর’ বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছিলেন এবং তার কার্যালয় পরবর্তীতে এই পদক্ষেপকে আইনসভার অচলাবস্থা ভাঙার প্রচেষ্টা হিসেবে অভিহিত করেছিল।

তার পদক্ষেপের পর, তিনি চরম ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব এবং ডানপন্থী ইউটিউবারদের কাছ থেকে সমর্থন পেয়েছিলেন। যাদের অনেকেই গত জানুয়ারির আদালত দাঙ্গার সাথে যুক্ত ছিলেন। 

বর্তমানে বিদ্রোহের জন্য বিচারাধীন ইউনের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে নীরবে উৎসাহিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। 

দাঙ্গার ঘটনার কয়েক সপ্তাহ আগে, জানুয়ারির শুরুতে, তিনি তার কট্টরপন্থী সমর্থকদের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়ে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে দেশ ‘বিপদে’ রয়েছে এবং ‘শেষ পর্যন্ত’ তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
আনচেলত্তিকে মেনে নিতে পারছেন না ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা
দিনাজপুরে দুই দিনব্যাপী ‘বিজ্ঞান প্রযুক্তি উদ্ভাবনে খাদ্য উৎসব মেলা’ 
শুটকিতে কীটনাশকের ব্যবহার, ৮৭ শতাংশ নিরাপদ 
চুক্তিতে আগ্রহী হলেও ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার কঠোর বাস্তবায়ন চান ট্রাম্প
ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য’র মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন
আইসিসি’র মাসসেরা খেলোয়াড় হলেন মিরাজ
ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তি আলোচনা : প্রতিনিধি দলের বিষয়ে মুখ খোলেনি ক্রেমলিন
‘জাতীয় নারীস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠার সুপারিশ কমিশনের
ঢাবি শিক্ষার্থী হত্যায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের
রাঙ্গামাটিতে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু
১০