ঢাকায় সার্ক কৃষি কেন্দ্রের পরিচালনা পর্ষদের ১৭তম সভা শুরু

বাসস
প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:৩৯
ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): সার্ক কৃষি কেন্দ্রের (এসএসি) পরিচালনা পর্ষদের ১৭তম সভা আজ রাজধানীতে শুরু হয়েছে। এই সভায় কৃষি গবেষণা ও উন্নয়নে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে সার্ক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জ্যেষ্ঠ নীতিনির্ধারক, কৃষি বিজ্ঞানী এবং প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

নগরীর একটি হোটেলে দুই দিনের এই বৈঠকে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজমুন নাহার করিম; সার্কের মহাসচিব রাষ্ট্রদূত মো. গোলাম সারওয়ারের প্রতিনিধি কাঠমান্ডুর সার্ক সচিবালয়ের পরিচালক তানভীর আহমেদ তরফদার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সচিব আব্দুল মোতালেব সরকার; এবং সার্ক কৃষি কেন্দ্রের পরিচালক ড. মো. হারুনুর রশিদ উপস্থিত থাকবেন।

এখানে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ এবং পাকিস্তানের হাইকমিশনার; ভারত ও নেপালের দূতাবাসের প্রতিনিধি; এবং জাতীয় কৃষি গবেষণা ব্যবস্থা (এনএআরএস) এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক কৃষি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এতে যোগ দিচ্ছেন।  

স্বাগত ভাষণে ড. মোঃ হারুনুর রশিদ টেকসই কৃষি পদ্ধতির প্রসার, খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক জ্ঞান বিনিময় সহজতর করার জন্য এসএসি’র অব্যাহত প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, "জলবায়ু পরিবর্তন এবং উদীয়মান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কৃষি উদ্ভাবন এবং স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধিতে এসএসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।" উদ্বোধনী অধিবেশনে ষোড়শ গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারপারসন এবং মালদ্বীপের কৃষি ও প্রাণী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরিচালক আলী আমিরের একটি ভার্চুয়াল ভাষণও ছিল। 

তিনি অভিন্ন কৃষি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এবং দক্ষিণ এশিয়াকে আরও খাদ্য-নিরাপদ ভবিষ্যতের দিকে পরিচালিত করার জন্য আঞ্চলিক সংহতির উপর জোর দিয়েছেন।

প্রাক্তন সচিব আব্দুল মোতালেব সরকার বলেন, "গবেষণা এবং জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে এসএসি’র অগ্রগতি সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।" "দক্ষিণ এশিয়ার কৃষির ভবিষ্যত আমাদের দক্ষতা বিনিময় এবং একসাথে কাজ করার আগ্রহের উপর নির্ভর করে।"

সার্ক সচিবালয়ের পরিচালক (এআরডি ও এসডিএফ) তানভীর আহমেদ তরফদার এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে বলেন, "জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে, এসএসি-এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সচিবালয় উৎপাদনশীলতা, উদ্ভাবন এবং আন্ত:সীমান্ত সহযোগিতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে প্রণীত নীতিগুলিকে সমর্থন করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।" 

কারিগরি অধিবেশন চলাকালীন, গভর্নিং বোর্ডের সভাপতিত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায়ী চেয়ারপারসন মালদ্বীপ থেকে নেপালে হস্থান্তরিত হয়। নেপালের কৃষি ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শবনম শিবাকোটি সভাপতির ভূমিকা গ্রহণ করেন এবং সভায় সভাপতিত্ব করেন।

বাংলাদেশ, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধিরা সশরীরে সভায় উপস্থিত ছিলেন, যেখানে ভারত, ভুটান, মালদ্বীপ এবং পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন।

১৭তম গভর্নিং বোর্ড সভা দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে টেকসই কৃষি উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য অগ্রগতি পর্যালোচনা, সর্বোত্তম অনুশীলন ও কৌশল গ্রহণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
দক্ষিণ আফ্রিকাকে কাঁদিয়ে প্রথমবারের মত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নির্বাচনের আগে জুলাই সনদের ওপর গণভোট চায় জামায়াত : ডা. তাহের
বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে টাঙ্গাইলে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ
প্রবাসীদের ভোটাধিকার দেয়ায় ইসিকে তারেক রহমানের ধন্যবাদ
বিনিয়োগ সহজীকরণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে
গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে আছে, ঐক্যবদ্ধ হোন: তারেক রহমান
রাজধানীতে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১৪
সরকার সকলক্ষেত্রে নারী উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছে: গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের ডিজি
নতুন ও সম্ভাবনাময় স্টার্ট-আপদের আইডিয়া প্রকল্পের কো-ওয়ার্কিং স্পেস ব্যবহারের আহ্বান ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের
বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার 
১০