ঢাকা, ১৫ মে, ২০২৫ (বাসস): বৃহস্পতিবার বিশেষজ্ঞদের একদল বিশেষজ্ঞের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে চীনের কার্বন নির্গমন হ্রাস পেয়েছে, যদিও দ্রুত বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা দেশের জ্বালানি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
বেইজিং থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
চীন, বিশ্বের বৃহত্তম গ্রিনহাউস গ্যাস যেমন কার্বন ডাই অক্সাইড (সিও ২) যা জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা পালন করে, ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্যে পৌঁছানোর এবং ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের পরিকল্পনা করছে।
গত বছর প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, এটি তার নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ খাতে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে, অন্য যে কোনও সম্মিলিত দেশের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বায়ু ও সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে।
সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ার (সিআরইএ) বিশ্লেষক লরি মাইলিভিটা বলেন, নতুন বায়ু, সৌর এবং পারমাণবিক ক্ষমতার ফলে চীনে সিও ২ নির্গমন প্রথম প্রান্তিকে বছরে ১.৬ শতাংশ এবং মার্চ পর্যন্ত ১২ মাসে এক শতাংশ কমেছে।
এর আগে চীনের নির্গমন হ্রাস পেয়েছে, তবে ২০২২ সালে কঠোর কোভিড লকডাউনের মতো চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে এই হ্রাস ঘটেছে।
কার্বন ব্রিফ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথম ত্রৈমাসিকে চীনের মোট বিদ্যুতের চাহিদা ২.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও এবার এই পতন ঘটেছে।
তবে প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল, বেইজিং ওয়াশিংটনের সাথে বাণিজ্যিক যুদ্ধের প্রতিক্রিয়া হিসাবে কার্বন নিবিড় খাতকে উদ্দীপিত করার চেষ্টা করলে আবার নির্গমন আরো বাড়তে পারে।
প্যারিস জলবায়ু চুক্তির অধীনে চীন তার কার্বন তীব্রতা জিডিপির তুলনায় কার্বন নির্গমন হ্রাস করার জন্য ২০৩০ সালের মূল লক্ষ্যমাত্রা থেকে ‘উল্লেখযোগ্যভাবে দূরে রয়েছে।
চীন ২০০৫ সালের মাত্রা থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের তীব্রতা ৬৫ শতাংশ হ্রাস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
মাইলিভিটা বলেছেন ‘চীনের সিও ২ নির্গমনের ভবিষ্যৎ পথ ভারসাম্যের মধ্যে ঝুলে আছে, যা নির্ভর করছে তার অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রের প্রবণতার ওপর, সেইসাথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কের প্রতি চীনের প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে।