ঢাকা, ১৭ মে, ২০২৫ (বাসস) : গাজায় চলমান মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের শীর্ষ মানবিক কর্মকর্তার বক্তব্যকে ‘গভীরভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আখ্যা দিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতিসংঘে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তর থেকে এএফপি জানায়, মঙ্গলবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক আন্ডার-সেক্রেটারি টম ফ্লেচার বলেন, ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে ও নির্লজ্জভাবে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বেসামরিক জনগণের ওপর অমানবিক পরিস্থিতি চাপিয়ে দিচ্ছে।'
ফ্লেচার বলেন, 'যারা নিহত হয়েছে এবং যাদের কণ্ঠ স্তব্ধ হয়ে গেছে—তাদের জন্য আর কত প্রমাণ দরকার আপনাদের? এখন কি আপনারা জেনোসাইড ঠেকাতে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের প্রতি শ্রদ্ধা নিশ্চিত করতে দৃঢ় পদক্ষেপ নেবেন?'
এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ইসরাইলি স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে ফ্লেচারকে পাঠানো এক চিঠিতে ড্যানন লেখেন, 'আপনার বক্তব্যে আমি গভীরভাবে বিস্মিত ও মর্মাহত। একজন জ্যেষ্ঠ জাতিসংঘ কর্মকর্তার অবস্থান থেকে আপনি নির্লজ্জভাবে নিরাপত্তা পরিষদের সামনে প্রমাণ, ম্যান্ডেট বা সংযম ছাড়াই গণহত্যার অভিযোগ তুলেছেন।'
ড্যানন এই বক্তব্যকে 'নিরপেক্ষতার সকল ধারণাকে ভেঙে ফেলা একেবারেই অনুচিত ও দায়িত্বহীন বক্তব্য' হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, 'আপনি নিরাপত্তা পরিষদকে কোনো ব্রিফিং দেননি, বরং একটি রাজনৈতিক ভাষণ দিয়েছেন। ‘গণহত্যা’ শব্দকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে ইসরাইলকে কলঙ্কিত করা হচ্ছে। এটি শুধু সত্য বিকৃতি নয়, বরং একটি শক্তিশালী শব্দকে অপবিত্র ও অপব্যবহার করা।'
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলার পর থেকেই গাজায় ইসরাইলি সামরিক অভিযান ও জাতিসংঘের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে।
ইসরাইল ইতোমধ্যে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। তারা সংস্থাটির বিরুদ্ধে হামাস দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার অভিযোগ এনেছে। এমনকি গত অক্টোবরে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকেও ‘অবাঞ্ছিত ব্যক্তি’ ঘোষণা করেছিল তেল আবিব।