ঢাকা, ২৮ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে আজ সোমবার মালয়েশিয়ায় শান্তি আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে প্রতিবেশী দুই দেশ। সীমান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে আজ চতুর্থ দিনের মত মারাত্মক সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে এই দু’দেশ।
সামরাওং থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র দুটি দেশই বিতর্কিত সীমান্ত মন্দিরের বিচ্ছিন্নতা নিয়ে লড়াইয়ের ফলে কমপক্ষে ৩৪ জন নিহত এবং ২ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ব্যাংকক রোববার ঘোষণা করেছে, ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই এবং কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত মালয়েশিয়ার নেতা ও আসিয়ান আঞ্চলিক জোটের সভাপতি আনোয়ার ইব্রাহিমের মধ্যস্থতায় আলোচনায় যোগ দেবেন। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া এই জোটের সদস্য।
আনোয়ার বলেন, প্রত্যাশিত আলোচনায় দুই প্রতিবেশীর মধ্যে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির ওপর আলোকপাত করা হবে।
বার্নামা জাতীয় সংবাদ সংস্থা রোববার গভীর রাতে আনোয়ারকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘তারা (কম্বোডিয়া এবং থাইল্যান্ডের সরকারি প্রতিনিধিরা) আমাকে শান্তি আলোচনার চেষ্টা করার জন্য অনুরোধ করেছেন’।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি প্যারামিটার, শর্তাবলী নিয়ে আলোচনা করছি, তবে যা গুরুত্বপূর্ণ তা হল (একটি) তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি।’
কম্বোডিয়া পরিকল্পিত আলোচনা সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেনি। স্থানীয় সময় বিকাল ৩ টা (০৭০০ জিএমটি) আলোচনা শুরু হওয়ার কথা।
এর আগে, শনিবার গভীর রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয় দেশের নেতাদের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির জন্য কথা বলেছেন। তারা "দ্রুত যুদ্ধবিরতি"তে সম্মত হয়েছেন বলেও জানান ট্রাম্প।
ট্রাম্প উভয় দেশকে চোখ ধাঁধানো শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন যদি না তারা স্বাধীন বাণিজ্য চুক্তিতে সম্মত হয়।
তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘যখন সবকিছু সম্পন্ন হবে, এবং শান্তি আমাদের হাতের মুঠোয় আসবে, সেইদিন আমি উভয়ের সাথে আমাদের বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি’।
উত্তর কম্বোডিয়া এবং উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে দুটি দীর্ঘ-বিরোধপূর্ণ প্রাচীন মন্দিরের কাছে রোববার সকালে নতুন করে গোলাগুলি শুরু হয়েছে।