ঢাকা, ২৮ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট ভূমিধসে চীনের হেবেই প্রদেশে অন্তত ৪ জন নিহত এবং ৮ জন নিখোঁজ রয়েছে। সোমবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বেইজিং থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
চেংদ শহরে এই ভূমিধস হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, ‘অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে’ ভূমিধসের সৃষ্টি হয়।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে, তারা হেবেই প্রদেশে ‘গুরুতর’ বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে একটি দল পাঠিয়েছে। প্রদেশটি রাজধানী বেইজিংয়ের চারপাশজুড়ে অবস্থিত।
গত কয়েক দিনে চীনের উত্তরাঞ্চলে বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। হেবেইতে রেকর্ড বৃষ্টিপাতে শনিবার আরো ২ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
ফুপিং কাউন্টিতে সাড়ে ৪ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
শানসি প্রদেশের বাস দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত মাত্র একজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এখনো ১৩ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে সিসিটিভি। শানসির বিভিন্ন এলাকা ও ধানক্ষেত প্লাবিত হয়েছে বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।
বেইজিংয়ের মিইউন জেলায় টানা বৃষ্টিতে ৩ হাজারেরও এর বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সেখানকার জলাধারে ৬০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে।
সিসিটিভির প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, স্রোতের তোড়ে বহু গাড়ি ভেসে যাচ্ছে।
প্রতি বছর গ্রীষ্মে চীনের বিভিন্ন এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিশেষত ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমন দুর্যোগ আরো ঘন ঘন ও তীব্র হয়ে উঠছে।
চীন বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কার্বন নিঃসরণকারী দেশ। তবে, একই সঙ্গে বৈশ্বিক নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তির কেন্দ্রও। দেশটি ২০৬০ সালের মধ্যে নিজেদের বিশাল অর্থনীতিকে কার্বন-নিরপেক্ষ করার ঘোষণা দিয়েছে।
চলতি মাসের শুরুতে পূর্ব চীনের শানডং প্রদেশে আকস্মিক বন্যায় ২ জন নিহত এবং ১০ জন নিখোঁজ হন। একই সময়ে সিচুয়ান প্রদেশে একটি মহাসড়কে ভূমিধসে ৫ জনের মৃত্যু হয়। ওই পাহাড় থেকে কয়েকটি গাড়ি নিচে পড়ে গেলে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
চীনা কর্তৃপক্ষ এখনো বৃষ্টিপ্রবণ এলাকাগুলোতে উচ্চ সতর্কতা বজায় রেখেছে। পরিস্থিতির আরো অবনতির আশঙ্কা থাকায় নতুন করে বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।