ঢাকা, ২৪ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : ক্যামেরুনের সীমান্তের কাছে বিমান হামলা চালিয়েছে নাইজেরিয়া। স্থল সেনাদের ওপর হামলার চেষ্টার পর নাইজেরিয়া এ বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে ৩৫ জনেরও বেশি জিহাদি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
নিহতদের সশস্ত্র জিহাদি হিসেবে উল্লেখ করেছে দেশটি। নাইজেরিয়ার বিমানবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে।
লাগোস থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনীর সর্বশেষ বিমান হামলা এটি, যা দেশটির যুদ্ধবিধ্বস্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে হামলার পুনরুত্থানের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
এই অঞ্চলটি বোকো হারাম এবং এর প্রতিদ্বন্দ্বী বিভক্ত গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট ওয়েস্ট আফ্রিকা প্রভিন্স (আইএসডব্লিউএপি) এর জিহাদি যোদ্ধাদের ঘন ঘন আক্রমণের মুখে পড়ছে।
নাইজেরিয়ান বিমান বাহিনী (এনএএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত একাধিক গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, সেনাদের ওপর হামলার প্রস্তুতি চলছে-এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই এ অভিযান চালানো হয়। এয়ার কম্পোনেন্ট ধারাবাহিকভাবে এবং নির্ভুলভাবে এ হামলা চালিয়েছে। এই বিমান হামলায় অন্তত ৩৫ জন সশস্ত্র জঙ্গি নিহত হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, হুমকির মুখে থাকা স্থল সেনাদের সঙ্গে তারা পুনরায় যোগাযোগ স্থাপন করেছে এবং তারা নিশ্চিত করেছে যে, ‘তাদের অবস্থানের আশেপাশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে।’
আইএসডব্লিউএপি ও বোকো হারাম উভয়ই সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়ার সামরিক ঘাঁটি দখল করে সৈন্যদের হত্যা করে অস্ত্র লুট করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই হামলা যুদ্ধক্ষেত্রে আধিপত্য বিস্তার ও ‘সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতা অস্বীকার করার প্রচেষ্টা তীব্র করেছে।’
প্রায় ১৬ বছর ধরে চলা এই সশস্ত্র সংঘর্ষ ২০১৫ সালের পর কিছুটা কমে এলেও, চলতি বছরের শুরু থেকে হামলার সংখ্যা ফের বাড়তে শুরু করেছে।
বিমানবাহিনী জানিয়েছে যে, সর্বশেষ অভিযানটি স্থল বাহিনীকে ঘনিষ্ঠ বিমান সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে বাহিনীর প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছে এবং একই সাথে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের রসদ সরবরাহ ও চলাচলের করিডোরগুলোকে ব্যাহত করেছে।
ক্যামেরুন, চাদ ও নাইজারের প্রতিবেশী উত্তর-পূর্ব অঞ্চলটি বোকো হারাম এবং আইএসডব্লিউএপি’র জিহাদি যোদ্ধাদের দ্বারা ঘন ঘন আক্রমণের স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিবেশী নাইজারের সেনাবাহিনীর এই সপ্তাহে দাবি করেছে যে, লেক চাদ অববাহিকায় লক্ষ্যবস্তু বিমান হামলায় বোকো হারাম নেতা নিহত হয়েছেন।
তবে শুক্রবার জিহাদি গোষ্ঠীটির প্রধানের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।