ওয়াশিংটন, ২৫ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : অপরাধ দমনের জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি সৈন্য মোতায়েন করেছেন। রোববার ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল গার্ড অস্ত্র বহন শুরু করেছে।
সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘২০২৫ সালের ২৪ আগস্ট সন্ধ্যার শেষভাগ থেকে জেটিএফ-ডিসি বাহিনীর সদস্যরা তাদের জন্য ইস্যু করা অস্ত্র বহন শুরু করেছেন।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘শেষ অবলম্বন হিসাবে এবং শুধুমাত্র মৃত্যু বা গুরুতর শারীরিক ক্ষতির আসন্ন হুমকি দেখা দিলেই কেবল ‘তাদেরকে (জেটিএফ-ডিসি সদস্যরা) বল প্রয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
শুক্রবার একজন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ওয়াশিংটনে মোতায়েনকৃত সৈন্যরা ‘শিগগিরই’ অস্ত্র বহন করবে।
এর আগে তাদের এই অস্ত্রগুলো অস্ত্রাগারেই থাকত। প্রয়োজনীয় মুহূর্তে সৈন্যরা এগুলো পেত।
ট্রাম্পের নেতৃত্বে রিপাবলিকান রাজনীতিবিদরা দাবি করেছেন, মার্কিন রাজধানী অপরাধে ছেয়ে গেছে। এটি এখন গৃহহীনতায় জর্জরিত ও আর্থিকভাবে অব্যবস্থাপিত।
তবে ওয়াশিংটন পুলিশের তথ্যে দেখা গেছে, ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে সহিংস অপরাধের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে, যদিও তা মহামারী পরবর্তী বৃদ্ধির ফলে ঘটেছে।
কিন্তু ট্রাম্প ওয়াশিংটনের মেয়র মুরিয়েল বাউসারের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা ও অত্যন্ত ভুল অপরাধের পরিসংখ্যান দেওয়ার’ অভিযোগ এনেছেন আর মেয়র এটি বন্ধ না করলে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট শহরটি সম্পূর্ণ ফেডারেলের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের পাশাপাশি, ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী কর্মীরা ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্টসহ সম্প্রতি ওয়াশিংটনের রাস্তায় তাদের উপস্থিতি বাড়িয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।