ঢাকা, ২৭ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : গাজার জন্য যুদ্ধোত্তর পরিকল্পনা নিয়ে আজ একটি বৈঠকের আয়োজন করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মঙ্গলবার তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
উইটকফ এ সম্পর্কিত আর কোনো বিস্তারিত তথ্য না দিয়ে ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আজ হোয়াইট হাউসে আমাদের একটি বড় বৈঠক আছে, এর সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট। এটি একটি অত্যন্ত বিস্তৃত পরিকল্পনা যা আমরা পরের দিনের জন্য প্রস্তুত করছি।’
২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের যুদ্ধের সমাপ্তির কথা উল্লেখ করে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় ‘গাজায় যুদ্ধ পরবর্তী সময়ের জন্য কোনও পরিকল্পনা আছে কিনা।’
এই বছরের শুরুতে ট্রাম্প বিশ্বকে তার এক বক্তব্যে হতবাক করে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়া উচিত, এর দুই মিলিয়ন বাসিন্দাকে সরিয়ে দেওয়া উচিত এবং সমুদ্র তীরবর্তী এই স্থানে রিয়েল এস্টেট নির্মাণ করা উচিত।
ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ধ্বংসস্তূপ ও অবিস্ফোরিত বোমা অপসারণ করবে এবং গাজাকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরায়’ পরিণত করবে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই প্রস্তাবের প্রশংসা করেছেন, তবে অনেক ইউরোপীয় এবং আরব রাষ্ট্র এর তীব্র সমালোচনা করে।
উইটকফ মঙ্গলবার যে পরিকল্পনাটি তুলে ধরেছিলেন তার বিস্তারিত বিবরণ দেননি, তবে তিনি জানান যে তিনি বিশ্বাস করেন যে ‘এটি কতটা শক্তিশালী, কেমন এবং কতটা অর্থবহ তা মানুষ দেখতে পাবে।’
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলের উপর হামাসের আক্রমণের ফলে গাজায় যুদ্ধ শুরু হয়। সরকারি পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে এএফপির এক পরিসংখ্যান অনুসারে ওই হামলায় ১,২১৯ জন নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, ইসরাইলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে কমপক্ষে ৬২,৮১৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। জাতিসংঘ এই সংখ্যা বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করে।