মন্ত্রিসভার বৈঠক চলাকালে জিম্মি চুক্তির দাবিতে ইসরাইলে বিক্ষোভ

বাসস
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৫, ১২:৫৫

ঢাকা, ২৭ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটাতে এবং জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে সরকারকে চাপ দেওয়ার লক্ষ্যে, নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠক চলাকালে, মঙ্গলবার তেল আবিবে কয়েক সহস্র বিক্ষোভকারী জড়ো হন।

তেল আবিব থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

এএফপির সাংবাদিকরা জানান, বিক্ষোভকারীরা ভোরে বাণিজ্যিক কেন্দ্রের রাস্তা অবরোধ করে প্রথম বিক্ষোভ শুরু করে। তারা ইসরাইলি পতাকা ওড়ায় এবং জিম্মিদের ছবি তুলে ধরে।

ইসরাইলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, অন্যরা নগরীর মার্কিন দূতাবাস শাখার কাছে এবং বিভিন্ন মন্ত্রীর বাড়ির বাইরে সমাবেশ করে।

তেল আবিবে সূর্য অস্ত যাওয়ার কয়েক ঘন্টা পরে, আরও কয়েক সহস্র মানুষ ‘হোস্টেজ স্কোয়ারে’ জড়ো হয়। স্থানটি কয়েক মাস ধরে প্রতিবাদ আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ব্যবহৃত আসছে।

জনতা এয়ার হর্ন, বাঁশি ও ঢোল বাজিয়ে স্লোগান দেয়। তারা জানায়, ‘সরকার আমাদের ব্যর্থ করছে, প্রতিটি জিম্মি বাড়িতে না আসা পর্যন্ত আমরা হাল ছাড়ব না।

২৯ বছর বয়সী বিক্ষোভকারী ইয়োভ ভিদার বলেন, ‘আমি এখানে প্রথম এবং সর্বাগ্রে প্রতিবাদ জানাতে এসেছি,  সরকারকে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ও সমস্ত জিম্মি বাড়ি ফিরিয়ে আনার এবং যুদ্ধের অবসান ঘটানোর আহ্বান জানাতে এসেছি।’

মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। তবে সরকারের উদ্দেশ্য অনেকটাই অস্পষ্ট রয়ে গেছে। ইসরাইল মিডিয়া জানিয়েছে, বৈঠকটির সিদ্ধান্ত অনিশ্চিত।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা সবেমাত্র একটি মন্ত্রিসভার বৈঠক করে এসেছি। আমার মনে হয় না আমি খুব বেশি বিস্তারিত বলতে পারব।’

‘তবে আমি একটা কথাই বলব, এটি গাজায় শুরু হয়েছিল এবং এটি গাজাতেই শেষ হবে। আমরা সেই দানবদের সেখানে ছেড়ে দেব না।’

ইসরাইল তার গাজা অভিযান শেষ করার জন্য ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুধবার ধ্বংসপ্রাপ্ত ছিটমহলের জন্য যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে একটি বৈঠক আয়োজন করবেন।

‘আমাদের আগামীকাল হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্টের সভাপতিত্বে একটি বড় বৈঠক আছে এবং এটি একটি অত্যন্ত বিস্তৃত পরিকল্পনা যার জন্যে আমরা পরদিন একত্রিত হব।’ তবে স্টিভ উইটকফ মঙ্গলবার ফক্স নিউজকে এ সম্পর্কে  বিস্তারিত জানাননি।

আগাস্টের গোড়ার দিকে নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা সিটি দখলের জন্য সেনাবাহিনীর একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করে, যার ফলে জিম্মিদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে আশঙ্কা তৈরি হয় এবং বিক্ষোভের এক নতুন ঢেউ শুরু হয়, যার ফলে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।

নেতানিয়াহু গত সপ্তাহে গাজার বাকি সকল বন্দীর মুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তাৎক্ষণিক আলোচনার নির্দেশ দেন, একই সাথে গাজার বৃহত্তম শহর দখলের জন্য নতুন আক্রমণের পরিকল্পনাও দ্বিগুণ করেন।

হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে তারা মধ্যস্থতাকারীদের  উত্থাপিত একটি নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে, যার মাধ্যমে ইসরাইল কর্তৃক আটক ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময়ে প্রাথমিক ৬০ দিনের মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার দোহায় কাতারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি একটি নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মধ্যস্থতাকারীরা এখনও সর্বশেষ প্রস্তাবের বিষয়ে ইসরাইলের কাছ থেকে ‘উত্তরের জন্য অপেক্ষা করছেন’।

আগের দিন, তেল আবিবে জিম্মিদের পরিবারগুলো গাজায় এখনও বন্দী থাকা ব্যক্তিদের মুক্তি দিতে পারে এমন একটি চুক্তিকে অগ্রাধিকার দিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করে।

তারা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জিম্মিদের মুক্তির চেয়ে হামাসের ধ্বংসকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
সন্দ্বীপের বিভিন্ন হাটে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ
জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ অনুমোদন
রাকসু নির্বাচন পেছালো, ভোটগ্রহণ ২৮ সেপ্টেম্বর
টাঙ্গাইলে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্য গ্রেফতার
নির্বাচন বানচালের জন্য নিত্যনতুন দাবি তোলা হচ্ছে : ফখরুল
বাঁশখালীতে সরকারি চাল বিতরণে ওজনে কম, জরিমানা
ফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে অর্থ সহায়তা এবং শিক্ষাবৃত্তি প্রদান
ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনায় চিঠি : ফেমার কর্মীদের বরখাস্ত
চাদে শরণার্থী শিবিরে কলেরা প্রাদুর্ভাবে ৬৮ জনের মৃত্যু
মৌরিতানিয়াকে আফ্রিকার অভিবাসী নির্যাতনের জন্য অভিযুক্ত করেছে এইচআরডব্লিউ
১০