ফিলিপাইনে ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন ফাং-ওং

বাসস
প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৩:১২

ঢাকা, ৯ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ফিলিপাইনের প্রায় পুরো অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত একটি ঝড় টাইফুন ফাং-ওং রোববার গভীর রাতে আঘাত হানতে পারে। এটি সুপার টাইফুনের আকার ধারণ করেছে।

ম্যানিলা থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি এ খবর জানায়। 

রাজ্য আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ছোট দ্বীপ ক্যাটানডুয়ানেসে সরাসরি আঘাত হানার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেখানে ইতোমধ্যেই ভোরে বাতাস ও বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে, তীব্র ঝড়ো হাওয়ায় উপকূলের রাস্তাগুলোয় ঢেউ আছড়ে পড়ছে।

রাজ্যের আবহাওয়া পরিষেবা জানায়, দেশটিতে সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় কালমেগি আঘাত হানার মাত্র ক’দিন পরই এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিম দিকে ধেয়ে আসছে। কেন্দ্রস্থলের কাছে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে ও ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে।

ক্যাটানডুয়ানেসের ভিরাক শহরের বাসিন্দা ৩৩ বছর বয়সী এডসন ক্যাসারিনো এএফপিকে বলেন, ‘এখন প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে, আর আমি বাতাসের বাঁশি শুনতে পাচ্ছি।’

‘স্থানীয় সময় সকাল ৭টা নাগাদ ঢেউয়ের গর্জন শুরু হয়। সমুদ্রের ঢেউগুলো আঘাত শুরু করলে মনে হচ্ছিল যেন মাটি কাঁপছে।’

ফিলিপাইনের বৃহত্তম দ্বীপ, দক্ষিণ লুজ শহর সোরসোগনে, কেউ কেউ একটি গির্জায় আশ্রয় নিয়েছে।

ম্যাক্সিন ডুগান শনিবার সন্ধ্যায় এএফপিকে বলেন, ‘আমি এখানে আছি কারণ আমার বাড়ির কাছে ঢেউ এখন বিশাল। আমি তীরের কাছে থাকি, সেখানকার বাতাস এখন খুব শক্তিশালী।’

উপকূলীয় অরোরা প্রদেশে রোববারের শেষের দিকে অথবা সোমবার ভোরে ফুং-ওং আছরে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকারীরা সেখানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের উঁচু ভূমিতে সরে যেতে উৎসাহিত করছেন।

সরকারি আবহাওয়াবিদ বেনিসন এস্তারেজা শনিবার সাংবাদিকদের জানান, টাইফুন ফুং-ওং ুএ প্রায় ২০০ মিলিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা ব্যাপক বন্যার সৃষ্টি করতে পারে।

‘আমাদের প্রধান নদী অববাহিকা উপচে পড়ারও আশঙ্কা রয়েছে।’

বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন যে মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝড়গুলো আরো শক্তিশালী হয়ে উঠছে। উষ্ণ সমুদ্র টাইফুনগুলো দ্রুত শক্তিশালী হতে দেয় এবং উষ্ণ বায়ুমণ্ডলে আরো আর্দ্রতার কারণে ভারী বৃষ্টিপাত হয়।

মাত্র ক’দিন আগে, টাইফুন কালমেগি সেবু প্রদেশের শহর ও নগরগুলোয় আঘাত হানায় ব্যাপক বন্যার পানি গাড়ি, নদীর ধারের ঝোপঝাড় ও বিশাল শিপিং কন্টেইনার ভাসিয়ে নিয়ে যায়।

সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান উদ্ধৃত করে দুর্যোগ ডাটাবেস ইএম-ডাট জানায়, ২০২৫ সালের সবচেয়ে মারাত্মক ওই টাইফুনে কমপক্ষে ২০৪ জনের প্রাণহানি ও ১০৯ জন নিখোঁজ হয়েছে।

কালমেগি শুক্রবার ভিয়েতনাম জুড়ে আঘাত হানলে এতে সেখানে কমপক্ষে আরো পাঁচজনের প্রাণহানি হয়েছে।

শনিবার, উদ্ধার কর্মকর্তা মাইরা ডেভেন এএফপিকে বলেন, আসন্ন ঝড়ের কারণে সেবু প্রদেশে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। টাইফুন কালমেগির প্রায় ৭০ শতাংশের মৃত্যু সেখানে ঘটেছে।

তিনি বলেন,‘ আজ বিকেল ৩টায় আমাদের অনুসন্ধান ও  উদ্ধার অভিযান সাময়িকভাবে বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

‘আমরা আমাদের উদ্ধারকারীদের নিরাপত্তার ঝুঁকি নিতে পারি না। আমরা চাই না যে তারা পরবর্তীতে আরো হতাহত হোক।’

ডেভেন বলেন, তীব্র ক্ষতিগ্রস্থ প্রদেশে সরকারি সংখ্যা অনুযায়ী নিখোঁজ ৫৭ জন। তবে এইসংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

তিনি আরো বলেন, এখনো এমন কিছু এলাকা রয়েছে যেখানে আমরা প্রবেশ করতে পারছি না। কিছু প্রবেশ পথ এখনো মাটি ও অন্যান্য জিনিসে অবরুদ্ধ। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে উজ্জ্বল রাম কৃষ্ণ ও বন্যা
রাঙ্গামাটিতে বিজিবির ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
ঝালকাঠিতে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা 
মাদারীপুরে নদীর পাড় থেকে অবৈধভাবে মাটি চুরি, ভাঙন আতঙ্কে গ্রামবাসী
বাগেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু শ্রমিক নিহত
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে নতুন রাষ্ট্রদূতের অঙ্গীকার
চীন নেক্সপেরিয়া চিপ রপ্তানি পুনরায় শুরু করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে: ইইউ
সাবেক এমপি কাজী নাবিলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মহাস্থান হাটে সবজির দাম স্থিতিশীল, সরবরাহ ভালো
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ‘আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্ট’ সফলে বর্ণাঢ্য র‌্যালি
১০