বাসস
  ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:৫৯

শতভাগ জনগোষ্ঠিকে সাক্ষরজ্ঞান দিতে বর্তমান সরকার কাজ করছে : জাকির

ঢাকা, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, বর্তমানে প্রায় ২৩.২ শতাংশ জনগোষ্ঠী নিরক্ষর। শতভাগ জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরজ্ঞান দিতে বর্তমান সরকারের নিরলস প্রয়াস অব্যাহত আছে।  
আজ বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, সাক্ষরতা ও উন্নয়ন নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। এর একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটি চিন্তা করা যায় না।   
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের নানামুখী কর্মসূচির কারণে পূর্বের তুলনায় সাক্ষরতার হার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। 
তিনি বলেন, সাক্ষরতা অর্জনের মাধ্যমে মানুষের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি পায়, মানুষ সচেতন হয়ে স্বনির্ভর হয়। দেশে জন্মহার এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস পায়, স্বাস্থ্য সূচকের উন্নয়ন ঘটে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটে। 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা, আত্ম-কর্মসংস্থানের যোগ্যতা সৃষ্টি এবং বিদ্যালয় বহির্ভূত ও ঝরেপড়া শিশুদের শিক্ষার বিকল্প সুযোগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সরকার উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন ২০১৪ প্রণয়ন করেছে। 
 টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসজিডি-৪) অর্জনের জন্য সরকার ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় (২০২১-২০২৫) উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা খাতের জন্য তিনটি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে- (১) ৩৩.৭৯ মিলিয়ন কিশোর-কিশোরী ও বয়স্ক নিরক্ষর জনগোষ্ঠিকে মৌলিক সাক্ষরতা জ্ঞান প্রদান করা, (২) মৌলিক সাক্ষরতা অর্জনকারী ৫ মিলিয়ন নতুন সাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তিকে কার্যকর দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রদান করা এবং (৩) উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বোর্ডকে কার্যকর করা।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। 
আগামীকাল (৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত হবে। ইউনেস্কো ঘোষিত দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘পরিবর্তনশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সাক্ষরতার প্রসার।’