বাসস
  ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:৫৩
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ২২:০৩

মেধাবী নন্দীনির পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খানম রিতা আজ নন্দীনি রানী সরকারের বাড়িতে যান। ছবি : বাসস

মানিকগঞ্জ, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৫ (বাসস): মানিকগঞ্জে দরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থী নন্দীনি রানী সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আজ শুক্রবার বিকেলে তাঁর (তারেক রহমান) প্রতিনিধি হিসেবে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খানম রিতা এবং ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির তৌহিদুর রহমান আউয়াল নন্দীনিদের বাড়িতে যান। 

এ সময় তারা নন্দীনিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং মেডিকেলে পড়াশোনার বই ও নগদ অর্থ সহায়তা তার হাতে তুলে দেন।

এ সময় জেলা ড্যাবের সভাপতি ডা. বদরুল আলম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ডা. জিয়াউর রহমান, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল আলম বাদশা, ছাত্রনেতা মমি আনসারি, আব্দুল্লাহ এ আর রহমান, মহিউদ্দিন মাহি ও অপু খান, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আবেদীন কায়সার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. জিন্নাহ খান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল খালেক শুভ, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুর রহমান খান সজিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্রদল নেতা তৌহিদুর রহমান আউয়াল বলেন, ‘প্রথম আলোর প্রতিবেদন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর তিনি আমাদেরকে নন্দীনিদের বাড়িতে পাঠিয়েছেন এবং নন্দীনির পাশে দাঁড়িয়েছেন। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরের তত্ত্বাবধানে ছাত্রদলের একটি দল মেডিকেলে উত্তীর্ণ হওয়া নন্দীনি রানী সরকার ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। শিক্ষার পরিবেশ এবং শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে ছাত্রদল সব সময় কাজ করে যাচ্ছে।’

বিএনপি নেত্রী আফরোজা খানম রিতা বলেন, মেধাবী নন্দীনির জন্য জেলাবাসী গর্বিত। নন্দীনির বিষয়টি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নজরে আসার পর তিনি আমাদেরকে নন্দীনির বাড়িতে পাঠিয়েছেন, সহায়তা করেছেন। এটা বিরল ঘটনা। তারেক রহমান তরুণ প্রজন্মের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে কাজ করছেন।’

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের গিলন্ড গ্রামের ইজিবাইকচালক অনিল চন্দ্র সরকারের মেয়ে নন্দীনি এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তালিকা অনুযায়ী, নন্দীনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। মেয়ের এমন সাফল্যে পরিবারের সবাই খুশি হলেও মেডিকেলে ভর্তি ও পড়াশোনার খরচ চালিয়ে নিতে দুশ্চিন্তায় ছিলেন নন্দীনি ও তাঁর পরিবার। 

এ নিয়ে গত মঙ্গলবার প্রথম আলো অনলাইনে ‘মেয়ের মেডিকেলে পড়াশোনার খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় দরিদ্র পরিবারটি’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর প্রতিবেদনটি তারেক রহমানের দৃষ্টগোচর হয়। পরে তিনি নন্দীনির পাশে দাঁড়ান।