শিরোনাম
ঢাকা, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শ্লোগান সারা দুনিয়াকে নাড়া দিয়েছে।
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কর্মসূচি শত-শত বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে বাঙালি জাতিকে উন্নয়নের মহাসড়কে পৌঁছে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত শেখ হাসিনার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের ফলে দেশের মানুষের জীবনধারা এখন বদলে গেছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শ্লোাগান সারা দুনিয়াকে নাড়া দিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ’র সুদৃঢ় ভিত্তির উপর স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচির বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রাও আমরা শুরু করেছি।’
মোস্তাফা জব্বার শনিবার সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে কবি ও প্রাবন্ধিক জসিম চৌধুরীর ৫টি বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, কবি ও গবেষক ড. নূহ-উল-আলম লেনিন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
‘ঝুমঝুমি প্রকাশনের’ প্রধান নির্বাহী এবং ছড়াকার ও প্রাবন্ধিক পাশা মোস্তাফা কামালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মণি সিংহ ফরহাদ স্মৃতি ট্রাস্টের সভাপতি শেখর দত্ত, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য গোলাম রাব্বানী চিনু, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, কথা সাহিত্যিক ঝর্না রহমান, কবি ও প্রাবন্ধিক জসিম চৌধুরী এবং ঝুমঝুমি প্রকাশনের প্রকাশক শায়লা রহমান তিথি বক্তৃতা করেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের কান্ডারি হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে নিজ-নিজ অবস্থান থেকে প্রত্যেককে কাজ করারও আহ্বান জানান।
ড. নূহ-উল-আলম লেনিন বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে পাল্টে যাচ্ছে সারা বিশ্বের চিত্র। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তব ও দৃশ্যমান। ডিজিটাল বাংলাদেশ যখন দৃশ্যমান তখন বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আরো অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের ঘোষণা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।
প্রকাশনা উৎসব শেষে, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজধানীর শেরেবাংলানগরস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ‘গণসাক্ষরতা অভিযানের’ ত্রিশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন।