বাসস
  ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২০:০৫

শারদীয় দুর্গাপূজায় এবার চট্টগ্রামে ২৪৫৮টি পূজামন্ডপ সাজানো হবে

চট্টগ্রাম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ (বাসস) : শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে এবার চট্টগ্রাম জেলায় মোট ২ হাজার ৪৫৮টি পূজামন্ডপ সাজানো হবে। এর মধ্যে মহানগরে ২৯৩টি ও ১৫ উপজেলায় ২ হাজার ১৬৫টি।
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভার সভাপতি, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, উৎসবমুখর, অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা সম্পন্ন করা হবে। এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ১৪ অক্টোবর শুভ মহালয়া ও ২০-২৪ অক্টোবর দুর্গাপূজার মহাষষ্ঠি থেকে বিজয়া দশমী অনুষ্ঠিত হবে। সার্বজনীন দুর্গাপূজার সময় সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে থাকবে। প্রত্যেক পূজামন্ডপে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত উপহার সামগ্রী যথাসময়ে পৌঁছে দেয়া হবে। 
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসানের সঞ্চালনায় প্রস্তুতিমূলক সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা এনএসআই’র যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম, মহানগর এনএসআই’র যুগ্ম পরিচালক মো. আবু আব্দুল্লাহ, সিএমপি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. জাহাংগীর, আনসার-ভিডিপি’র জেলা কমান্ড্যান্ট এএইচএম সাইফুল্লাহ হাবিব, র‌্যাব ডিএডি মো. খালিদুর রহমান, সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, জেলা কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লায়ন আশীষ কুমার ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক সুগ্রীব মজুমদার দোলন, উত্তর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নটু প্রসাদ ঘোষ, দক্ষিণ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সন্তোষ রঞ্জন দাশগুপ্ত, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার এবং মহানগর, জেলা ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। সরকারী-স্বায়স্তশাসিত-বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/প্রতিনিধিগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর এলাকায় শারদীয় দুর্গাপূজা চলাকালীন পূজামন্ডপ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে। মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা টহল দায়িত্ব পালন করবে। প্রত্যেক পূজাম-প কর্তৃক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দল (নারী-পুরুষ) নিয়োজিত রাখতে হবে। স্বেচ্ছাসেবদের পরিচিতি কার্ড আবশ্যিকভাবে গলায় ঝুলিয়ে রাখতে হবে। পূজাম-পসমূহ ও আশপাশের এলাকায় নিজস্ব উদ্যোগে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, পর্যাপ্ত লাইট ও বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটর প্রস্তুত রাখা, শৃঙ্খলা রক্ষায় ম-পে আগত পূণ্যার্থী-দর্শনার্থী শিশুসহ নারী-পুরুষদের-পৃথকভাবে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার ব্যবস্থা, হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ে স্থাপনের ব্যবস্থার পাশাপাশি সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিওফুটেজ রেকর্ড ও সংরক্ষণ করতে হবে। পূজাম-পে আগত মহিলা দর্শনার্থীরা যাতে ইভটিজিং বা কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনার শিকার না হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি পূজাম-প এলাকায়  মাদকদ্রব্য সেবন বা বিক্রয় সংক্রান্ত অপরাধ দমনের বিষয়ে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধসহ যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় পূজাম-পের গেটে, দৃশ্যমান বা উন্মুক্তস্থানে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ কর্মকর্তা, এসআই, ডিউিটি অফিসার, র‌্যাব, ফায়ার সার্ভিসের টেলিফোন নম্বর ও জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর সম্বলিত ব্যানার টাঙিয়ে রাখতে হবে। প্রতিমা বিসর্জন এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার সড়কে পর্যাপ্ত সড়ক বাতির ব্যবস্থাকরণসহ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে বিসর্জন সম্পন্ন করতে হবে। 
ডিসি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান আরও বলেন, দুর্ঘটনা এড়াতে পূজামন্ডপে আতশবাজি পোড়ানো যাবে না, আলোকসজ্জায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। পূজাম-পসমূহে সকল প্রকার আলোকসজ্জা, সাজসজ্জা, মেলার আয়োজন, আরতি প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সকল প্রকার বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার সীমিত করণসহ প্রযোজ্য ক্ষেত্র ব্যতীত অপর সকল সময়ে মাইক ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।