বাসস
  ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:৩০

রাজধানীতে আনসার আল ইসলামের এক নেতাসহ ৬ জন আটক

ঢাকা, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলামের এক নেতাসহ ৬ জনকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। 
র‌্যাব জানায়, র‌্যাব প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের প্রায় ৩ হাজার সদস্যকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার র‌্যাব-১ এর সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারি পরিচালক মো. পারভেজ রানা বাসসকে জানান, সোমবার রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১ ও ডিজিএফআই যৌথ অভিযান চালিয়ে রাজধানীর উত্তরা, বনানী, বনশ্রী ও যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে তাদের আটক করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন,  জঙ্গী সংগঠন ‘আনসার আল ইসলামের ঢাকা অঞ্চলের দাওয়াতী শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত  মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী  ওরফে আবু মাসরুর (৫০), শেখ আশিকুর রহমান  ওরফে আবু আফিফা (৪৯), সাদী মো. জূলকার নাইন (৩৫), মো. কামরুল  হাসান সাব্বির (৪০), মো. মাসুম রানা  ওরফে মাসুম বিল্লাহ (২৬) ও সাঈদ মো. রিজভী (৩৫)।
গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ২টি ল্যাপটপ, ৬টি মোবাইল ফোন, উগ্রবাদে সহায়ক পুস্তিকা ও সাংগঠনিক কার্যক্রম সংক্রান্ত ডায়রী ও নোট বই উদ্ধার করা হয়। 
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানান, তারা ‘আনসার আল ইসলামের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। তারা বিভিন্ন সময় অনলাইনে বিভিন্ন উগ্রবাদী নেতাদের বক্তব্য দেখে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে সংগঠনের সদস্যদের মাধ্যমে ওই সংগঠনে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তারা সংগঠনের সদস্য সংগ্রহে দাওয়াতি কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। 
এছাড়াও তারা সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ভুল তথ্য প্রদান করে তাদের আত্মীয়-স্বজন, বিভিন্ন মাদ্রাসা ও সদস্যদের কাছ থেকে নিয়মিত অর্থ সংগ্রহ করতেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে তারা মসজিদ, বাসা বা বিভিন্ন স্থানে সদস্যদের নিয়ে গোপন সভা পরিচালনা করতেন বলে স্বীকার করেন। 
আটকরা  বিভিন্ন অপব্যাখা ও মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে দেশের বিচার ও শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে বিতৃষ্ণা তৈরি করে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করার জন্য সদস্যদেরকে উগ্রবাদী করে তুলতেন। এছাড়াও তারা পার্শবর্তী  বিভিন্ন দেশের সমমনা ব্যক্তিদের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগাযোগ বজায় রাখতেন।
র‌্যাব জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত  জঙ্গি নেতা মিজবাহ ওরফে আবু মাসরুর দেশের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে উচ্চ শিক্ষার জন্য ২০০৪ সালে ইউরোপীয় একটি দেশে যান এবং ফিন্যান্স এ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করে দেশে ফিরে আসেন। ২০১০ সালে গ্রীনকার্ড স্কীমের মাধ্যমে স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে সপরিবারে ইউরোপীয় একটি দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তিনি  ঢাকা অঞ্চলের দাওয়াতী শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। তিনি দেশে ও দেশের বাইরে থেকে সংগঠনের জন্য চাঁদা সংগ্রহ করতেন বলে জানা যায়। 
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।