শিরোনাম
ঢাকা, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩২(বাসস) : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো: এনামুর রহমান বলেছেন, বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধীবান্ধব সরকার।
তিনি বলেন, জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় প্রতিবন্ধীদের অধিকার আদায়সহ তাদের সহযোগিতায় নানা পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী রাজধানীর গুলশানে একটি মোটেলে আজ (বুধবার) সকালে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দুর্যোগকালে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে করণীয় প্রজেক্ট ইনসেপশন মিটিংয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন।
সংস্থার চেয়ার পারসন মহুয়া পালের সভাপতিত্বে এবং সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এলবার্ট মোল্লার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন, ডিজঅ্যাবেল চাইল্ড ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাসরীন জাহান, প্রকল্প নিয়ে পরিচিতি প্রদান করেন নবলোক পরিষদের নির্বাহী পরিচালক কাজী রাজিব ইকবাল।
তিনি বলেন, ডিজেবিলিটি ইনক্লুস্ভি নিয়ে সারাবিশ্বে কিন্তু কাজ হচ্ছে। বিশ্বের যে জনসংখ্যা উন্নয়ন নিয়ে যেসব সংস্থা কআজ করেন,তাতে যারা কাজ করে তাদের ‘নো ওয়ান লেফট বিহাইন্ড’ অর্থাৎ কাউকে পিছিয়ে রেখে নয়, সবাইকে নিয়ে সাসটেনেইবল ডেভেলপমেন্ট গোল অর্জনে কাজ করতে হবে। সারাবিশ্বে প্রতিন্ধীদের উন্নয়নে করনীয় কর্মকান্ড নিয়ে কাজ হচ্ছে। সবখানেই কিন্তু ডিসঅ্যাবেলিটি ইনক্লুউশন এর কথা বলেছেন। সারাবিশ্বে প্রতিবন্ধীদের অধিকার আদায়ে বদ্ধপরিকর।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিবন্ধীদের স্বার্থে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ডিজঅ্যাবেলিটিকে নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ডিজঅ্যাবেলিটি ইনক্লুসিভ ডিজাস্টার ডিসম্যানেজমেন্ট নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে ডিজাস্টারে প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এই কমিটির উপদেষ্টা হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা বিশিষ্ট অটিজম বিশেষজ্ঞ এবং ডব্লিউএইচও এর সাইকোলজি অ্যাডভাইজার সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল। তিনি যখনই আমাদের সাথে মিটিং করেন তখনই প্রতিবন্ধীদের অধিকার সুরক্ষার বিষয়ে কথা বলে থাকেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ডিপার্টমেন্টের মহাপরিচালক এম. মিজানুর রহমান, এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো’র পরিচালক, জয়েন্ট সেক্রেটারী মো. আনোয়ার হোসেন। এছাড়া প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেন, কারিতাস বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক সেবাস্টিন রোজারিও, সিবিএম গ্লোবাল এর নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মুশফিকুল ওয়ারা, পরিবেশ বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টার দিলরুবা আক্তার।
দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো: এনামুর রহমান এছাড়াও আজ দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক পৃথক একটি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ।
দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী সভায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে এই দুটি কারণ প্রধান বাঁধা। এজন্য তামাক কোম্পানি হতে সরকারের শেয়ার এবং প্রতিনিধি প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিত।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, উদ্বেজনক বিষয় হলো, তরুণদের যাতায়াতে করে এমন স্থানগুলোতে ধূমপানের আলাদা স্থান করে দিয়ে নেশায় উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। তামাকের কারণে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। জিডিপি এবং সার্বিক প্রবৃদ্ধিতে এর প্রভাব পড়ে। একটি পরিবারে উপার্জন সক্ষম মানুষ তামাকের কারণে মৃত্যুবরণ করলে তার পরিবারে বিপাকে পড়ে। শক্তিশালী আইনের মাধ্যমে তামাক নির্মূল করা প্রয়োজন।
মানস এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন অসীম কুমার উকিল এমপি, সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা: গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক, ভাইটাল স্ট্রাটেজিস-বাংলাদেশ এর হেড অব প্রেগ্রামস্ মো: শফিকুল ইসলাম। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দি ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম।