শিরোনাম
ঢাকা, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র আমির সালাউদ্দিন সালেহীনের একান্ত সহযোগি নুরুল ইসলামসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)।
মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানার দারুল আকরাম একাডেমি ও একই দিন চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার নাসিরাবাদ স্টিল মিল এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. নুরুল ইসলাম (৪০) ও মো. রাসেল (৩৭)।
এদের মধ্যে নুরুল ইসলাম ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার চন্ডীপন্ডপ (এলাচার পাড়) গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র। এছাড়া রাসেল লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম থানার ঘোনাবাড়ী পাঠানবাড়ি গ্রামের মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে মনজুলের পুত্র ।
এটিইউ পুলিশের সিনিয়র এসপি (মিডিয়া) ওয়াহিদা পারভীন বাসসকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)'র একটি দল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে গাজীপুর জেলার টঙ্গী পূর্ব থানার দারুল আকরাম একাডেমির পার্শ্ববর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে নুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
ওয়াহিদা পারভীন আরো জানান, নুরুল ইসলামের বাবা ও ভাই জেএমবি’র সূচনালগ্ন থেকে এর কার্যক্রমের সাথে জড়িত। দীর্ঘ প্রায় ২৪ বছর (২ যুগ) সময় ধরে সে জেএমবির সক্রিয় সদস্য হয়ে বাংলাদেশের সংহতি ও জননিরাপত্তা বিপন্ন করার লক্ষ্যে কাজ করে আসছিল।
তিনি জানান, ২০০৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী রাতে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার চেচুয়া কুড়িপাড়া এলাকায় অবস্থিত ব্র্যাক (আরডিপি) অফিসে ডাকাতি হয়। এ ব্যাপারে অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে মুক্তাগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় সালাউদ্দিন সালেহীনকে গ্রেফতার করা হলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ময়মনসিংহে ব্র্যাক (আরডিপি) অফিসে ডাকাতিতে নেতৃত্ব দেয়ার কথা স্বীকার করে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশ ডাকাতি মামলার আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করে এবং ২০০৭ সালের ৫ অক্টোবর নূরুল ইসলামসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। নুরুল ইসলাম মামলার শুরু থেকে পলাতক ছিল। সে দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর যাবৎ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিল।
অপরদিকে, এটিইউ পুলিশের অপর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার নাসিরাবাদ স্টিল মিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রাসেলকে গ্রেফতার করে।
ওয়াহিদা পারভীন জানান, রাসেল জেএমবি’র সক্রিয় সদস্য এবং লালমনিরহাট জেলার অন্যতম দায়িত্বশীল হিসেবে ২০০০ সাল থেকে জেএমবি’র কার্যক্রমের সাথে জড়িত।
তিনি জানান, ২০০৮ সালের ৯ ডিসেম্বর নীলফামারী জেলার ডিমলা থানার দক্ষিণ খড়িবাড়ি এলাকায় নাশকতার পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক চলাকালে জেএমবি’র এহসার সদস্য গোলজার হোসেনকে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ওই সময় রাসেলসহ অন্যান্য সহযোগিরা কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ডিমলা থানায় একটি মামলায় দায়ের করা হয়। মামলার বিচারকার্য শেষে আদালত রাসেলসহ ৪ জনকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। রাসেলও দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর যাবৎ আত্মগোপনে ছিল।