শিরোনাম
ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : বাংলাদেশ ও আফ্রিকান এভিয়েশন হাব খ্যাত ইথিওপিয়ার মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ স্থাপনের জন্য গত সপ্তাহে একটি এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্ট (এএসএ) স্বাক্ষরিত হওয়ায় ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স ৮ মার্চ থেকে আদ্দিস আবাবা ও ঢাকার মধ্যে ফ্লাইট চলাচল শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আদ্দিস আবাবা-ঢাকা-আদ্দিস আবাবা সরাসরি ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এয়ারলাইন্সটি। রিদম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সের জেনারেল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) সোহাগ হোসেন আজ বাসসকে বলেন, প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে পাঁচটি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
তিনি বলেন, আফ্রিকান এয়ারলাইন্স জায়ান্টের উদ্বোধনী ফ্লাইটে ইথিওপিয়ার পরিবহনমন্ত্রী ও ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স গ্রুপের সিইও বাংলাদেশ সফর করবেন।
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের কেন্দ্র আদ্দিস আবাবা থেকে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার সব বড় শহরকে সংযুক্ত করায় এই রুটটি প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাড়ায় বিভিন্ন কানেক্টিং ফ্লাইট সরবরাহ করবে।
হোসেন বলেন, ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি ফ্লাইট পরিচালনা করে, বাংলাদেশে বাণিজ্যিক সময়সূচি ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করার পর শিগগিরই তাদের বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭ দিয়ে ঢাকায় প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনা করার পরিকল্পনা রয়েছে।
দুই দেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় ধারাবাহিক আলোচনার পর গত ৬ ডিসেম্বর সৌদি আরবের রিয়াদে ইথিওপিয়া ও বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এয়ার সার্ভিস চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
আইসিএও এয়ার সার্ভিসেস নেগোসিয়েশন ইভেন্ট ২০২৩ (আইসিএএন২০২৩), রিয়াদে ৩ থেকে ৭ ডিসেম্বর ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইসিএও) এর এভিয়েশন আলোচনার সঙ্গে সম্পর্কিত বৃহত্তম ইভেন্টের সময় চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
ইথিওপিয়ার পতাকাবাহী বিমান সংস্থা ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স ৩১ বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে মালবাহী ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে।
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স বর্তমানে ঢাকা থেকে অফলাইনে তিনটি সাপ্তাহিক নন-শিডিউল মালবাহী ফ্লাইট পরিচালনা করছে উল্লেখ করে সোহাগ বলেন, এএসএ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি মালবাহী ফ্লাইট চালুর অনুমতি দেবে।
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স, ১৪৭টি বিমানসহ, যাত্রী বহন, গন্তব্য পরিবেশন, বহরের আকার এবং আয়ের হিসেবে আফ্রিকার বৃহত্তম এয়ারলাইন্স। পরিষেবা দেওয়া দেশের সংখ্যা অনুসারে এটি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম স্থানে রয়েছে।