বাসস
  ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:২৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেষ্টা করছেন মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার শূন্যে নামাতে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য 

ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩ (বাসস): বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেষ্টা করছেন মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার শূন্যের কোটা নামিয়ে আনতে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নানামুখী উদ্যোগ বাস্তবায়নের ফলে দেশে শিশু ও মাতৃ মৃত্যু হার অনেক কমেছে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, তাঁর উদ্যোগের ফলে মায়েদের শতকরা মৃত্যুহার ৭৫ ভাগ এবং শিশুদের শতকরা মৃত্যুহার ৭১ ভাগ কমেছে।
আজ মঙ্গলবার সারা দেশের মত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্øাস ক্যাপসুল প্রচারাভিযান ও শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ানো কর্মসূচি-২০২৩ এর শুভ উদ্বোধন শেষে উপাচার্য এসব কথা বলেন। 
বিশ্ববিদ্যালয়ের বহির্বিভাগ-১ এর তৃতীয় তলায় ইপিআই সেন্টারে এ কর্মসূচির আয়োজন করে শিশু বিভাগ। এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, যে সকল শিশু ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খায়, তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। এতে অনেক শিশু সুস্থ থাকে। 
তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর ফলে আরেকটি উপকার হয়েছে। আগে বছরে রাতকানা রোগীর সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার। সেটি এখন ১০ হাজারে নেমে এসেছে।
এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মানিক কুমার তালুকদার, টেকোনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবতোষ পাল, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রি. জে. ডা. রেজাউর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক (সার্জিক্যাল অনকোলজি) ডা. মো. রাসেল, শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মোজ্জামেল হক, আবাসিক চিকিৎসক (আরপি) সহকারী অধ্যাপক ডা. তৌফিক আহমেদ, অতিরিক্ত পরিচালক ডা. পবিত্র কুমার দেবনাথ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আজ ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। তাদের মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে দেয়া হয় নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল। আর ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে দেয়া হয় লাল রঙের ক্যাপসুল। তবে অসুস্থ শিশুদের এই ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।