শিরোনাম
ঢাকা, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ (বাসস): ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়ার নজির স্থাপন করেছে দক্ষিণ সিটি।
তিনি বলেন, আমরা সুশাসন নিশ্চিত ও (প্রশাসনিক) সংস্কার করা এবং জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলাম।
আজ বুধবার রাজধানীর ধলপুরে দক্ষিণ সিটির মালিকানাধীন ৪ ও ৫ তলা বিশিষ্ট দুটি ভবনে নতুন ৫টি অঞ্চলের জন্য ৫টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র এ সব কথা বলেন।
দক্ষিণ সিটির অন্তর্ভুক্ত নতুন ৫টি অঞ্চলের জন্য ৫টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধনের মাধ্যমে আজ আমরা একটি নজির স্থাপন করতে পেরেছি বলে মন্তব্য করেন মেয়র। তিনি বলেন, "আমাদের এই স্থাপনাগুলো ২০০৮ সাল হতে র্যাবের দখলে ছিল, এটাকে প্রথমে দখলমুক্ত করি। এরপর সংস্কার করে আজ এটাকে আঞ্চলিক কার্যালয় হিসেবে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করতে পারলাম। দীর্ঘ ৬ বছরের অধিক সময় জনগণ, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এই আঞ্চলিক কার্যালয়গুলো চালু হওয়ায় জনগণের আর ভোগান্তি থাকবে না।"
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমাদের ১১টি স্থাপনা পুলিশ-র্যাব দ্বারা দখল অবস্থায় ছিল। আমরা এ যাবৎ চারটি স্থাপনা দখলমুক্ত করতে পেরেছি। বাকি স্থাপনাগুলোও দখলমুক্ত করতে আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে।
অঞ্চল ভিত্তিক আলাদা আলাদা আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, আমাদের নতুন ৫টি অঞ্চল ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ধলপুরে অবস্থিত করপোরেশনের মালিকানাধীন ৩, ৪ ও ৫তলা বিশিষ্ট ভবনগুলো র্যাব-১০ কর্তৃক ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। র্যাব-১০ এ বছরের ৪ জুন ভবনগুলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে বুঝিয়ে দেয়। এরপর সেসব ভবন সংস্কার করে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত নতুন ৫টি অঞ্চলের জন্য আজ ৫টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হলো।
আরও উল্লেখ্য যে, ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই ১৮টি নতুন ওয়ার্ডকে ৫টি অঞ্চলে বিভাজন করে নতুন ৫টি অঞ্চল সৃষ্টি করা হয়। ফলে পুরনো ৫টিসহ দক্ষিণ সিটিতে মোট অঞ্চলের সংখ্যা বেড়ে ১০টি অঞ্চলে উন্নীত হয়।
পরে ঢাদসিক মেয়র দক্ষিণগাঁও এলাকায় আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রকল্পের পিএ-৬ এর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দার আলী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, কর্পোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলসমূহের সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরবৃন্দ এবং করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।