বাসস
  ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:৩৬

সিলেট-১ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের

সিলেট, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ (বাসস): আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম (বাবুল) এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন একই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন।
আজ বুধবার বিকেলে হঠাৎ করে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলের সিলেট নগরীর গোটাটিকর¯ ’ ব্যবসায়িক কার্যালয়ে হাজির হন আব্দুল মোমেন। এসময় তিনি - নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য বাবুলের সাথে কুশল বিনিময় করে তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন  এবং তাকে ধন্যবাদ জানান ।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান এমপি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সিলেট মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম বাবুল। নজরুল ইসলাম বাবুলের এই ত্যাগে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাতে বুধবার বিকালে তাঁর সাথে সাক্ষাত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 
এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের নজরুল ইসলাম বাবুল বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পরিবার হচ্ছে সিলেটের একটি ঐতিহ্যবাহী ও অভিজাত পরিবার। তাঁর ভাই সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম আবুল মাল আব্দুল মুহিত সিলেটের উন্নয়নে অনেক কিছু করেছেন। তিনি  বলেন, ড,এ কে আব্দুল মোমেনও অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন সিলেট তথা দেশের জন্য। এ অবস্থায় সিলেট-১ আসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আমার পক্ষে উচিত মনে করিনি। তাই আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। 
উল্লেখ্য যে, গত সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন  সিলেট মহানগর  জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম বাবুল। এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সিলেট-৩ আসনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন । কিন্তু দল (জাতীয় পার্টি) তাঁকে সিলেট-১ আসনে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে। দলের এই সিদ্ধান্ত না মেনে তিনি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, এই মানুষটি নজরুল ইসলাম (বাবুল) আমার জন্য  দলীয় সিদ্ধান্ত  উপেক্ষা করে সিলেট-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। তাই আমার মনে হলো- তাঁর সঙ্গে একবার দেখা করে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানো দরকার। তাঁর এই ত্যাগ সিলেটের সম্প্রীতির রাজনীতির এক অনন্য উদাহরণ বলে মন্তব্য করেন তিনি। এসময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।