শিরোনাম
ঢাকা, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ (বাসস): যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুসহ দলের ৪৭ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার পৃথক তিন মামলায় এ রায় ঘোষণা করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশাররফ হোসেন।
তেজগাঁও থানায় দায়ের করা নাশকতার মামলায় যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবসহ বিএনপির ১৪ নেতাকর্মীকে আড়াই বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
কারাদন্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হচ্ছে ঢাকা সিটির সাবেক কাউন্সিলর মো. আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পলাশ, তেজগাঁও থানা সেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, রাজ, সেলিম, কবির, শফিজুর রহমান শাফিজ. যুবদল নেতা জালাল, শ্রমিক দল নেতা শাহ আলম, আব্দুল জলিল, ইউসুফ হোসেন মিন্টু, তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু ও ছাত্রদল নেতা ঝন্টু।
আদালত তাদের প্রত্যেককে পেনাল কোডের ৪৩৫ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ২ বছর ৬ মাসের সশ্রম করা দন্ড প্রদান করেন। মামলার সূত্রে জানা যায়, সরকারের পদত্যাগের দাবিতে কর্মসূচিতে নাশকতার অভিযোগে ২০১৩ সালের নভেম্বরে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় এ মামলা দায়ের করে পুলিশ।
এদিকে ২০১৮ সালে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় দায়ের নাশকতার মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুসহ দলের ১৩ নেতাকর্মীকে আড়াই বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিটভুক্ত অন্য ৫ আসামিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
কারাদন্ড প্রাপ্ত অন্য আসামিরা হচ্ছে বিএনপি নেতা আহসান হাবিব হীরা, আবদুল্লাহ জামান আদিত্য চৌধুরী, আলমগীর হোসেন আজাদ, গিয়াস উদ্দিন মানিক, বদরুল আলম সবুজ, সোহাগ ভূঁইয়া, মোহাম্মদ ভাসানী চাকলাদার, মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন প্রমুখ।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে নাশকতার অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহজানপুর থানায় এ মামলা দায়ের করে পুলিশ।
অপরদিকে ২০১৮ সালে রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা নাশকতার মামলায় বিএনপির ২০ নেতাকর্মীকে দুই ধারায় একবছর ৯ মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিটভুক্ত অপর এক আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. মিজানুর রহমান, শাহজাহান সরকার, মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান আল মামুন, হাজী সৈয়দ আহমেদ মনজুর হোসেন, মো. ইমাম হোসেন, মো. সেলিম আহমেদ রাজু, শাজাহান বাবুর্চি, মিজানুর রহমান আক্তার ও মোহাম্মদ রেজাউর রহমান ফাহিম।