বাসস
  ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫:১০
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:৩৫

মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের নতুন নাটক‘সুরেন্দ্র কুমারী’র উদ্বোধনী মঞ্চায়ন কাল

ঢাকা, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : মহাকাল নাট্য সম্প্রদায় “সুরেন্দ্র কুমারী” নামে নতুন একটি নাটক মঞ্চে এনেছে। এটি দলের ৪৪তম প্রযোজনা। আগামী কাল শুক্রবার  সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ শিল্পকলা একডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন। 
নাটকটি রচনা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনন জামান, নির্দেশনা দিয়েছেন শামীম সাগর। নেপথ্যের শিল্পীরা হলেন- আলো ও প্রপস-পলাশ হেনড্রি সেন, কোরিওগ্রাফি-ওয়ার্দা রিহাব, পোশাক- এনাম তারা সাকি, সংগীত- নির্ঝর চৌধুরী, পোস্টার- চারু পিন্টু, মঞ্চ- শামীম সাগর ও পলাশ হেনড্রি সেন এবং মুখবিন্যাস-শুভাশীষ দত্ত তন্ময়, পান্ডুলিপি গবেষণায়- শরীফ নাসরুল্লাহ, নাটকটির প্রযোজনা অধিকর্তা- মীর জাহিদ হাসান।  
নাটকটির কাহিনী এরকম :  অতীত মন্থনকারী এক কবির আহ্বানে মঞ্চের ধুমেল আলোর অন্তর খুড়ে উদ্ভাসিত হয় সুরেন্দ্রকুমারী। নীল নক্ষত্রের কুয়াশাকনা কলমে মেখেÑ সুরেন্দ্রর প্রতি অশ্রুসিক্ত কবিÑ প্রচলিত গাঁথা নবতর শিল্পরীতিতে বয়ান করতে চায়Ñ যেখানে আখ্যানের অন্তে সুরেন্দ্রর আত্মহত্যা রুখে দেয়া হবে।
এক ঝড়জলের রাত ফুরানো ভোরেÑ জমিদার যতীন্দ্রনাথের ঘোড়াÑ পীঠে বিষক্রীয়ায় মৃত যতীন্দ্রকে নিয়ে ফিরে আসে। সন্তানসম্ভবা রাজমাতার হুংকারে পরগনা কম্পমান। সন্দেহভাজন হীরাচূড় মতিবাঈয়ের প্রাসাদ পুড়িয়ে দেয় সৈন্যরা। সুরেন্দ্রকুমারীর জন্মের পর থেকেই রাজমাতা তাকে সকল প্রকার সমর শাস্ত্রে প্রশিক্ষণ দেয়। নারীর সহজাত প্রবৃত্তি সুরেন্দ্রর জন্য ছিল নিষিদ্ধ।
এদিকে  শিবলিঙ্গে পূজা দিতে গিয়ে মন্দিরের ঈষৎ অন্ধকারে দেখা পুরোহিতের শিষ্য আনন্দনাথের খোলা পীঠÑ তাকে নিরন্তর হাতছানি দেয়। নিজেই নিজের প্রবৃত্তির বিপরীতে দাঁড়ায় সুরেন্দ্রÑ সে মনযোগী হয় পরগনার পর পরগনা দখলে। আকস্মিক সে এক বিভৎস সত্য আবিস্কার মাধ্যমে আশ্রয় প্রার্থনা করে আনন্দনাথের। সুরেন্দ্র সকল বিপত্তি অতিক্রম করে আনন্দকে নিয়ে পালিয়ে যায়  গোপন সুরঙ্গ দিয়ে মতিচূড় বাঈয়ের পোড়া প্রাসাদে। ধৃত হয় পুরোহিত জ্ঞানেশ্চার্য। সুরেন্দ্রর মুখোমুখী হয়  হীরাচূড় মতিবাঈয়ের ছায়াশরীর । এক ভয়ংকর গোপন উন্মেচিত হয় সুরেন্দ্রর সম্মুখে। ক্ষমতার হাতছানি মানুষকে কেমন বদলে দেয়Ñ মানুষের ভেতর থেকে মানুষটাই কেমন কেঁচে নিংড়ে বাইরে ফেলে দেয়, এ উপলদ্ধি নাট্যান্তে সুরেন্দ্রকে এক দৃঢ় সিদ্ধান্তে উপনীত করে।
নাটকটির শিল্পীরা হলেন- আবু আজাদ, শুভ্র মানিক, ইকবাল চৌধুরী, পলি বিশ্বাস, শিবলী সরকার, কানিজ ফাতেমা লিসা, চৈতী সাথী, রাজীব দেবনাথ, কাজী তারিফ, স্বপ্নীল, রাকিব হাসান, উইলিয়াম নিক্সন ভিকী, আব্দুল কাইয়ুম, নীলমনি বাবু, কামরুজ্জামান সবুজ, শংকর কুমার ধর ও মীর জাহিদ হাসান।